ফেরিতে এখনও ঢাকামুখী যাত্রীর চাপ

12

করোনাভাইরাস লকডাউনের মধ্যে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরিতে যাত্রীর চাপ কিছুটা বেড়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় ঢাকামুখী ফেরিতে এই চাপ দেখা দিয়েছে। তবে গত তিন দিনের তুলনায় ঢাকামুখী যাত্রীদের ভিড় অনেকটাই কম।

রোববার ও সোমবার লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক থাকায় ফেরিতে তেমন যাত্রী ছিল না। গত দুদিনে ঘাটে আটকে থাকা যানবাহনসহ অন্যান্য যানবাহন নির্বিঘ্নে পার হয়েছে ফেরিতে। তবে আজ সকাল থেকে নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীরা ফেরিতে পার হচ্ছে। লঞ্চ বন্ধ থাকায় যাত্রীদের দুর্ভোগ কিছুটা বেড়েছে।

যাত্রীরা জানান, লকডাউনে যেহেতু মানুষের চলাচল থেমে নেই, ফেরিতে হাজারো যাত্রী একত্রে পার হচ্ছে, সেহেতু লঞ্চ চালু রাখার দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা। কারণ, লঞ্চ চালু থাকলে নৌপথ পার হতে যাত্রীদের ভোগান্তি কমে। লঞ্চে বসে পদ্মা পার হওয়া যায়। ফেরির মতো গাদাগাদি পরিস্থিতি হয় না।

বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা পার হওয়ার অপেক্ষায় ঘাটে তিন শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক রয়েছে। এ ছাড়া নিয়মিত যানবাহনের সংখ্যা অন্যান্য দিনের তুলনায় কিছুটা কম। অ্যাম্বুলেন্স, লাশবাহী গাড়ি, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল পার হচ্ছে ফেরিতে। সকাল থেকে রাজধানীমুখী যাত্রীরা ফেরিতে পার হচ্ছে।

সরেজমিনে জানা যায়, পোশাকসহ রপ্তানিমুখী কলকারখানা খোলার ঘোষণায় গেল তিন দিনে ফেরি ও লঞ্চে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার যাত্রীদের স্রোত নামে বাংলাবাজার ঘাটে। কঠোর দুর্ভোগ মাথায় নিয়ে পদ্মা নদী পার হয় হাজারো যাত্রী। সে তুলনায় মঙ্গলবার কম রয়েছে যাত্রীর সংখ্যা। পদ্মা পার হওয়া যাত্রীদের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার তেমন কোনো প্রবণতা দেখা যাচ্ছে না। গায়ে গা লাগিয়ে পাশাপাশি বসছে। অধিকাংশের মুখে কোনো মাস্ক নেই। অনেকের মাস্ক থুতনিতে। এদিকে পদ্মায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় স্রোতের গতিও বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে ফেরি পার হতে দ্বিগুণ সময় ব্যয় হচ্ছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে দূরপাল্লার বিভিন্ন জেলা বরিশাল, পটুয়াখালী, খুলনা, ফরিদপুর, মাদারীপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলো থেকে ঘাটে আসছে রাজধানীগামী যাত্রীরা। সেখানেও স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। উভয় ঘাটে যানবাহনের চাপ রয়েছে।

বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাটের সহব্যবস্থাপক ভজন কুমার সাহা বলেন, বর্তমানে এ রুটে ১০টি ফেরি চলছে। রো রো ফেরি বন্ধ রাখা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পেলে পরে সেগুলো চালানো হবে। এখন অগ্রাধিকারভিত্তিতে অ্যাম্বুলেন্স, লাশবাহী পরিবহন, পচনশীল দ্রব্যের ট্রাক পারাপার করা হচ্ছে।