চট্টগ্রামে বিএনপির অঙ্গসংগঠনের আহ্বানে নগরীর কাজীর দেউড়িতে তারুণ্যের সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়ার পথে ছাত্রলীগের হামলার জেরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভাঙচুরের ঘটনায় ছাত্রদল ও যুবদলের পাঁচ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৪ জুন) বিকাল সোয়া ৩টার দিকে এ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে ছাত্রদল ও যুবদলের পাঁচ নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- বায়েজিদ বোস্তামী থানার শেরশাহ কলোনীর মৃত ইউসুফ সিদ্দিকীর ছেলে মো. মাহবুব সিদ্দিকী (৩৫), বাকলিয়া থানার ১৮নং পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ডের ওমরা মিয়া সওদাগরের বাড়ির মৃত নুরুল আবছারের ছেলে মো. এরফান (৩০), একই ওয়ার্ডের ইয়াকুব আলী মেম্বারের বাড়ির মৃত আবুল হাশেমের ছেলে নুরুল ইসলাম ওরফে মাসুম (৩৯), একই ওয়ার্ডের ওয়াইজর পাড়ার হাফেজ আহম্মেদ সওদাগর বাড়ির মো. ইউনুসের ছেলে মো. মহিউদ্দিন হাসান ইমন (২০) ও চান্দগাঁও থানার কালুরঘাট ওসমানি পুলের গোড়া এলাকার মো. আইয়ুব খানের ছেলে মো. ইমন খান (২০)।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির জানান, আটক পাঁচজন সবাই ছাত্রদল-যুবদলের নেতাকর্মী। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ওসি আরও বলেন, ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে তাৎক্ষণিক অভিযান চালানো হয়। অভিযানে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় পাঁচজনকে আটক করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, কাজীর দেউড়িতে যুবদলের ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ এ যোগ দিতে চান্দগাঁও ও বাকলিয়া এলাকার বিএনপির নেতাকর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে মিছিল করে আসার পথে পৌনে ৩টার দিকে চকবাজার থানার চট্টগ্রাম কলেজের সামনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা করে।
পরে বিএনপি নেতাকর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে জামালখান মোড়ে এসে সোয়া ৩টার দিকে জামালখান সড়কের বিভিন্ন দেয়ালে আঁকা বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের স্থিরচিত্র সংবলিত ৪০টি ট্যাম্পার্ড, গ্লাস, ম্যুরাল, নৌকা প্রতীক ভাঙচুর করে। এরপর তারা কাজীর দেউড়ির দিকে অগ্রসর হয়।