বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানের বিরুদ্ধে ভারতের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরো (এনসিবি) যেসব অভিযোগ এনেছিল; প্রাথমিকভাবে তেমন কোনও প্রমাণ মেলেনি।
মুম্বাই আদালত কর্তৃক আরিয়ানের জামিনের পূর্ণাঙ্গ রায়ের অনুলিপি প্রকাশের পর শনিবার এই তথ্য জানা গেছে।
হিন্দুস্তান টাইমসের খবর, ১৪ পৃষ্ঠার রায়ে বিচারপতি নীতিন সামব্রে জানিয়েছেন, মাদক মামলায় ষড়যন্ত্রের জন্য আরিয়ানদের একই অপরাধের উদ্দেশ্য ছিল বলে এনসিবির তরফে যে দাবি করা হয়েছে, তা খারিজ করে দেওয়া হচ্ছে। হাইকোর্ট জানিয়েছেন, অভিযুক্তরা ক্রুজে যাচ্ছিলেন শুধু সেই ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনের ২৯ নম্বর ধারা প্রয়োগ করা যাবে না।
বিচারপতি জানিয়েছেন, আরিয়ানের কাছ থেকে কোনো মাদক উদ্ধার হয়নি। আরবাজ ও মুনমুনের কাছ থেকে যে মাদক উদ্ধার করা হয়েছে, তা মাদক আইন অনুযায়ী ‘কম’। আপাতত যা তদন্ত হয়েছে, তা থেকে উঠে এসেছে যে মুনমুনের সঙ্গে যাননি আরিয়ান ও আরবাজ।
পাশাপাশি আরিয়ানের হোয়্যাটসঅ্যাপ চ্যাটেও কোনো ষড়যন্ত্রের প্রমাণ মেলেনি বলে জামিনের রায়ে জানিয়েছে হাইকোর্ট। রায়ে জানানো হয়েছে, শাহরুখ খানের পুত্রের ফোন থেকে হোয়্যাটসঅ্যাপ চ্যাট পাওয়া গিয়েছে, তা খুঁটিয়ে দেখার পর এমন কোনো প্রমাণ মেলেনি, যা থেকে ইঙ্গিত পাওযা যায় যে আরিয়ান এবং আরবাজ বা আরিয়ান, আরবাজ এবং মুনমুন বা অন্য অভিযুক্তদের সঙ্গে কোনো ষড়যন্ত্র তৈরি করা হয়েছিল।
যেহেতু ষড়যন্ত্রের কোনো প্রমাণ মেলেনি, তাই ৩৭ ধারায় জামিনের কঠোর নিয়ম কার্যকর হবে না। সেইসঙ্গে হাইকোর্ট জানিয়েছে, অভিযুক্তদের স্বীকারোক্তি হিসেবে যে দাবি করেছিল এনসিবি, তুফান সিং বনাম তামিলনাড়ু সরকার মামলায় সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে তার কোনো মূল্য নেই।