বঙ্গবন্ধুর মানে জানো

26

বঙ্গবন্ধুর মানে জানো
লেখক- কাজী আবদুল্লাহ আল রাহী।

রাখাল রাজার গল্প শোনো শ্রোতা, এই মাটিতে জন্ম নেওয়া বীর
ক্রান্তিকালে ত্রাতার বেশে এসে, সদা যেজন উঁচু করলো শির।
টুঙ্গিপাড়ার জন্ম নেওয়া বীরে, সৃষ্ট হলো অত্যাচারীর ভয়
একটা মানব আপোষহীন নির্ভয়ে, অনর্গলে জাতির কথা কয়।

নির্দয় কুলের জুলুমে আগুন চোখ, একটা মানব ভিতর পোড়া ক্রুদ্ধ
৭ই মার্চে আঙুল তুলে দিলে, কম্পিত রেসকোর্সে ঘোষিত হলো যুদ্ধ।
একটা আঙুল জাতির আশা হলে, একটা পিতা প্রতিবাদের সুর
একটা জাতি দুঃসাহসে ভরা, শোষণ শেষে স্বপ্ন বহুদূর।

দরাজ গলায় কাঁপিয়ে দিয়ে বুক, দেখিয়ে দিলো জয়ী হওয়ার পথ
একটা জাতি অস্ত্র তুলে নিলে, কে বা থামায় তাদের জয়ের রথ?
ভাষার লড়াই-ছয়দফা-স্বাধীনতা, একটা জাতির গল্প হলো লেখা
এক ইতিহাস গাড়লো চির আসন, যে মাটিতে রক্তনদী মাখা।

এই যে আকাশ স্বাধীন ভাবে হাটে, এই যে বাতাস লাল-সবুজে লাগে
এই যে মাটি রক্তেমাখা ঘ্রাণ, এমন রাজ্য কে দেখেছে আগে?
মাটির বুকে কান্না জমা খুব, নদীর বুকে মুখ লুকাবার বেশ
এক পতাকায় স্বপ্ন ছিলো মিশে, পূরণ হওয়ার আগেই জীবন শেষ।

বুকের ভেতর আস্ত আকাশ পুষে, একটা মানব ছড়িয়েছিলেন আভা
মানুষরূপী স্নেহের জন্তু হয়ে, ঘাতক খুনি বসিয়ে দিলো থাবা।
কালো কোটে দ্বিষৎ হিংস্র থাবা, থামিয়ে দিলো তেজী মুখের বুলি
পঁচাত্তরে আগষ্ট পনেরো তারিখ, ঝাঁজরা করলো নাফরমানের গুলি।

সোনার বাংলার স্বপ্ন নিয়ে ঘুম, একটা জাতির অশ্রু মাখা চোখ
স্বপ্নমানব ‘বঙ্গবন্ধু’ নামে, অমরত্বে আকাশ ভরা শোক।
একটা মানব বুক লুটিয়ে ধরায়, একটা নাশে আদর্শহীন ফাঁকা
এই জীবনী অমূল্য বুনিয়াদ, এই জীবনী স্বাধীনতায় আঁকা।

চার দেওয়ালে অর্ধ জীবন কেটে, বুঝিয়েছিলো ত্যাগী শব্দের মানে
এই মুজিবে বাংলাদেশের প্রাণ, সে তো কেবল এই পতাকাই জানে।
এই শিকড়-শ্যামল মাঠ সব জানে, এই মাটিতে কত দুঃখ ঢাকা
অন্তিমে সদা একটা কথাই জেনো, মুজিব মানেই বাংলার পতাকা।