নেত্রকোণার কেন্দুুয়ায় জুয়ার আসরে পুলিশ অভিযান চালানোর সময় গ্রেপ্তার এড়াতে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে এক যুবক নিখোঁজ হয়েছেন বলে জানিয়েছে নিখোঁজের স্বজনেরা। আর পুলিশ জানিয়েছে এই অভিযানে জুয়ার আসর থেকে ৮ জনকে আটক করা হয়।
শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে উপজেলার কান্দিউড়া ইউনিয়নের তাম্বূলিপাড়া এলাকায় কৈজানি নদীতে এই ঘটনা হয়। শনিবার বিকাল পৌনে ৫ টা নাগাদ নিখোঁজ ওই যুবককে উদ্ধার করা যায়নি।
নিখোঁজ হালিম মিয়া ( ৩৫) উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিয়নের আব্দুল হামিদের ছেলে।
স্থানীয়রা, নিখোঁজ যুবকের পরিবারের সদস্য ও পুলিশ জানায়, তাম্বূলিপাড়া এলাকায় কৈজানি নদীতে ইঞ্জিন চালিত নৌকায় জুয়ার আসর বসিয়ে বিভিন্ন এলাকার ২০ থেকে ২৫ জন লোক জুয়া খেলছিলেন। পুলিশ খবর পেয়ে নৌকায় চড়ে
ওই জুয়ার আসরে অভিযান চালায়। এসময় জুয়ার আসরে থাকা লোকজন পুলিশের গ্রেপ্তার এড়াতে নদীতে ঝাঁপ দেন। ঝাঁপ দেওয়া অন্যরা সাতরে তীরে উঠতে পারলেও নিখোঁজ হন হালিম মিয়া। এসময় সেখান থেকে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ৮ জনকে আটক করে পুলিশ।
এদিকে ঘটনার পর থেকে স্থানীয়রা ও নিখোঁজের স্বজনরা রাতভর হালিমকে উদ্ধারে তৎপরতা চালান। পরে আজ সকালে উদ্ধার তৎপরতায় যোগ দেন কেন্দুুয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সদস্যরা। দুপুরের দিকে তাদের সাথে যোগ দেন ময়মনসিংহ থেকে আসা একদল ডুবুরি।
শনিবার বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে নিখোঁজের চাচাত ভাই রাজীব আহমেদ মুঠোফোনে ঘটনাস্থল থেকে বলেন, গতকাল নৌকায় পুলিশ
অভিযান চালানোর সময় আমার ভাই হালিম মিয়া নদীতে ঝাপ দিয়ে নিখোঁজ হন। আমরা খবর পেয়ে রাতে নদীতে তার খোঁজ করি।সকালে থানা পুলিশ ও ফায়ারসার্ভিসকে জানাই। ফায়ারসার্ভিসের লোকজন সকাল থেকে ভাইকে উদ্ধারে তৎপরতা চালাচ্ছেন। দুপুর ১২ টার দিকে ময়মনসিংহ থেকে ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে পৌছে উদ্ধারে নেমেছেন।
শনিবার বিকাল পৌনে ৫ টার দিকে কেন্দুুয়া থানার পরিদর্শক ( তদন্ত) ওমর কাইয়ুম জানান, নদীতে নৌকায় জুয়ার আসরে পুলিশ অভিযান চালায়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি দেখে নদীতে ঝাপ দিয়ে সাতরে কিছু লোক পালিয়ে যান। আমরা ৮ জনকে আটক করি। পরে তাদের বিরুদ্ধে থানায় জুয়া আইনে দায়ের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে শনিবার
আদালতে সোপর্দ করা হয় । নিখোঁজ হালিম মিয়াকে উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরি দলের সদস্যরা কাজ করছেন।