বরিশালের উজিরপুরে অ্যাম্বুলেন্স ও কাভার্ডভ্যানের সংঘর্ষে ছয়জন নিহত হয়েছেন। বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার আটিপাড়া রাস্তার মাথা এলাকায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা সবাই অ্যাম্বুলেন্সের যাত্রী বলে জানিয়েছে পুলিশ। তারা নবজাতকের মরদেহ নিয়ে ঢাকা থেকে ঝালকাঠি ফিরছিলেন।
নিহতদের মধ্যে পাঁচজনের নাম পাওয়া গেছে। নিহতরা হলেন- মৃত নবজাতকের বাবা আরিফুর রহমান, মা শিউলি বেগম, দাদী কোহিনুর বেগম, চাচা কাইউম হোসেন তারেক ও অ্যাম্বুলেন্স চালক আলমগীর কবির। চালক আলমগীর কবির কুমিল্লা জেলার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। নিহত আরেকজন নবজাতকের মামা। তবে তার নাম জানাতে পারেনি পুলিশ।
অন্যদিকে দুর্ঘটনার পরপরই থেমে থাকা কাভার্ডভ্যানটিকে পেছন থেকে এমএম পরিবহন নামে একটি যাত্রীবাহী বাস ধাক্কা দেয়। এতে বাসের ৮-১০ জন যাত্রী আহত হয়েছেন।
উজিরপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল আহসান জানান, অ্যাম্বুলেন্সেটি ঢাকা থেকে ঝালকাঠি যাচ্ছিল। অন্যদিকে কাভার্ডভ্যানটি বরিশাল থেকে ঢাকা যাচ্ছিল। উপজেলার আটিপাড়া রাস্তার মাথা এলাকা অতিক্রমকালে অ্যাম্বুলেন্স ও কাভার্ডভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অ্যাম্বুলেন্সটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরে থাকা ছয়জন যাত্রীরই মৃত্যু হয়।
তিনি আরও জানান, এর কিছুক্ষণ পর কাভার্ডভ্যানটিকে পেছন থেকে এমএম পরিবহন নামে একটি যাত্রীবাহী বাস ধাক্কা দেয়। এতে বাসের ৮-১০ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করেন। দুর্ঘটনার কারণে ঘণ্টাখানেক মহাসড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয়।
ওসি জিয়াউল আহসান জানান, রাজধানীর উত্তরায় শিন শিন জাপান হাসপাতালে গত ৬ সেপ্টেম্বর তামান্না নামে এক শিশুর জন্ম হয়। দুদিন পর শিশুটি মারা যায়। সকালে অ্যাম্বুলেন্সযোগে তার মরদেহ নিয়ে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন স্বজনরা। পথিমধ্যে দুর্ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়। মরদেহগুলো উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনার পরপরই কাভার্ডভ্যানের চালক ও হেলপার পালিয়েছেন। তাদের আটকের চেষ্টা চলছে।
উজিরপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার সনাজ মিয়া বলেন, ধারণা করা হচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স বা কাভার্ডভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারানোয় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। তদন্তের মাধ্যমে দুর্ঘটনার সঠিক কারণ জানা যাবে।