শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হবে কিনা জানা যাবে আজ

সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সচল রাখার চেষ্টা করলেও প্রাণঘাতী করোভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির ফলে এ বিষয়ে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে।

আর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে রোববার (৯ জানুয়ারি) কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

শনিবার রাজধানীর ইম্পেরিয়াল কলেজের রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের মন্ত্রণালয়ে নিজেদের মধ্যে আলাপ আছে। রোববার কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি কমিটির সঙ্গে নির্ধারিত বৈঠক আছে। সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

মন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে গত দেড় বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হয়েছে। আমাদের ধারণা ছিল, মার্চে গিয়ে সংক্রমণ বাড়বে। কিন্তু এখন জানুয়ারির গোড়ায় বাড়তে শুরু করেছে। কাজেই যে পরিকল্পনা, তাতে কিছুটা সমন্বয়ের দরকার হবে।

তিনি বলেন, নতুন করে আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে চায় না সরকার। এ কারণে শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রমের উপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তবে ১২ বছর বয়স থেকে ভ্যাকসিনেশনের আওতায় শিক্ষার্থীদের আনা সম্ভব হলেও প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের এর আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছে না বলে তাদের নিয়ে বেশি উদ্বেগ রয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের জানিয়েছেন, আজ ভার্চুয়ালি এই বৈঠক হবে। তবে এটি মন্ত্রণালয়ের ইন্টারনাল বৈঠক বলে জানান তিনি।

এদিকে, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এক মাসের জন্য বন্ধ রাখা যেতে পারে। সমাজে যেসব বিষয়ে জনসমাগম হয়ে থাকে, সেসব কিছুই আপাতত কমপক্ষে এক মাসের জন্য স্থগিত করে দেয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।