লটারিতে বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে সুযোগ পেল ছাত্রী, একজন পেল দুইবার

করোনা পরিস্থিতির কারণে দেশের সরকারি বিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হয়েছে লটারির মাধ্যমে। গতকাল বিকেলে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি কার্যক্রমের লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের এই বাছাই করা হয়।

এরপর এক এক করে বিদ্যালয়সমূহ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে সুযোগ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের বিস্তারিত তথ্য প্রতিষ্ঠানের নোটিশবোর্ড, ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়।

সেখানে দেখা যায়, ‘মোছাঃ ওয়াসিমা আকতার লুবনা’ নামের একজন মেয়ে লটারিতে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। এছাড়া লটারিতে নির্বচিতদের তালিকায় ‘মোঃ বোরহানুজ্জামান’ নামের একজনের নাম, আইডি দুইবার দেখা গেছে।

এরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেটি বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করে। একের পর এক আইডি থেকে সেটি শেয়ার হতে থাকে। চলতে থাকে সমালোচনার ঝড়। মেয়ে হয়ে ছেলেদের স্কুলে ভর্তির সুযোগের ঘটনায় চলছে হাস্যকরও।

আদিব নামের একজন লিখেন, ইতিহাসে প্রথমবার মেয়ে হয়েও বয়েজ স্কুলে পড়ার সুযোগ পেয়েছে মেয়েটি, কংগ্রাচুলেশনস সিসটার। হাজারো কাটার ভিতর একটি গোলাপ হয়ে বেঁচে থেকো।

তিনি আরও লিখেন, আজ লটারি হয়েছে বলেইই ১২০টি ভাই পেলো তাদের একমাত্র বোনকে। মেয়েটির ভর্তি নিশ্চিত করা হোক।

মোঃ আলী আকবর বাবু নামের একজন লিখেন, ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য লটারির ফলাফলের তালিকায় মেয়ের নাম, কিভাবে সম্ভব? বয়সের তারতম্যও লক্ষ্যণীয়।

এছাড়া অনেকেই বয়সের তারতম্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কারণ ৭ বছরের অসংখ্য শিক্ষার্থীকে লটারিতে তৃতীয় শ্রেণীতে সুযোগ পেতে দেখা গেছে।