কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী ১৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একটি মাদ্রাসায় রোহিঙ্গা দুষ্কৃতিকারীদের হামলায় ছয়জন মাদ্রাসা ছাত্র-শিক্ষক নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আহত হয়েছে আরও অন্তত ১০ জন। একই সঙ্গে হামলাকারী সন্দেহে একজনকে একটি দেশীয় বন্দুক, ৬ রাউন্ড গুলি ও একটি ছুরিসহ আটক করেছে পুলিশ।
নিহতরা হলেন, বালুখালীর ব্লক-এইচ/ ৫২ এর নুরুল ইসলামের ছেলে আজিজুল হক (২২); ক্যাম্প-১৮ এর ইব্রাহিম (১৭); ব্লক-এইচ/ ৫২ এর আবুল হোসেনের ছেলে মো. আমিন (৩০); মো. ইদ্রিস (৩২); ব্লক-এফ/ ২২ ক্যাম্প-১৮ এর মো. নবীর ছেলে হাফেজ নুর হালিম (৪৫); ক্যাম্প-১৮ এর মৌলভী হামিদুল্লাহ (৫০)।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক ও অধিনায়ক শিহাব কায়সার বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে এপিবিএন এবং জেলা পুলিশ নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করেতে অভিযান চালানো হচ্ছে। পুলিশ হামলাকারী সন্দেহে একজনকে একটি দেশে তৈরি বন্দুক, ৬ রাউন্ড গুলি ও একটি ছুরিসহ আটক করেছে। তার নাম মো. মুজিব বলে জানা গেছে।
ঘটনার বিবরণ তুলে ধরে ৮ এপিবিএন এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মোহাম্মদ কামরান হোসেন জানান, বালুখালী ১৮ নম্বর ক্যাম্পের এইচ-৫২ ব্লকের ‘দারুল উলুম নাদওয়াতুল ওলামা আল-ইসলামিয়াহ’ মাদ্রাসায় কতিপয় রোহিঙ্গা দুষ্কৃতিকারী হামলা চালায়। এতে মাদ্রাসায় অবস্থানরত চারজন রোহিঙ্গা ঘটনাস্থলে ও হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও তিনজন মারা যান। পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
মোহাম্মদ কামরান হোসেন জানান, উখিয়া থানা পুলিশ মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণের ব্যবস্থা করছে। নিহতেরা মাদ্রাসার শিক্ষক ও ছাত্র।
প্রসঙ্গত গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়া লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আততায়ীর হাতে নিহত হন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর শীর্ষ নেতা মুহিব্বুল্লাহ। এ ঘটনার পর থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। এ পর্যন্ত শতাধিক রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়েছে।