ভারতের সাবেক অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম ছাড়া পেলে সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন, এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে আইএনএক্স মিডিয়া কেলেঙ্কারিতে তার জামিন নামঞ্জুর করেছে দিল্লি হাইকোর্ট।
সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হওয়ায় গতমাস থেকেই তিহার জেলে রয়েছেন পি চিদাম্বরম।
দিল্লি হাইকোর্ট বলেন: তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করার কোনও সুযোগ নেই,তবে সম্ভাবনা রয়েছে। জামিন পেলে সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন পি চিদাম্বরম।
তবে আদালতে পি চিদাম্বরম দাবি করেন: প্রকৃতিগতভাবে তার বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ গুরুতর নয়।
চিদাম্বরমের বিরুদ্ধে আনা প্রমাণ হলে তার ৭ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
গত অগস্টে তাকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তদন্তকারী সংস্থার তরফে আদালতে বলা হয়: সাজার সঙ্গে অপরাধের গুরুত্বের কোনও সম্পর্ক নেই। যে অপরাধ করা হয়েছে, সমাজ, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং দেশের অখণ্ডতার ওপর তার প্রভাবের ভিত্তি করে অপরাধের গুরুত্ব বিচার করা হয়।
২০০৭-এ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন আইএনএক্স মিডিয়াকে বড় অঙ্কের বিদেশী লগ্নি পেতে অনুমোদন দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় তার ছেলে কার্তি চিদাম্বরমের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওযার অভিযোগ তুলেছে সিবিআই।
আইএনএক্স মিডিয়ার সহপ্রতিষ্ঠাতা পিটার মুখোপাধ্যায় ও ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়, শিনা বোরা হত্যাকাণ্ডে জেলে রয়েছেন তারা।
এই মামলায় চিদাম্বরমের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের রাজসাক্ষী ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়, তার মতামতের ওপর ভিত্তি করেই মামলা সাজিয়েছেন তদন্তকারীরা।
একডজন অফিসার, ৬জন সচিব, এই প্রস্তাব খতিয়ে দেখে প্রস্তাব দেন। পি চিদাম্বরম এ নিয়ে সর্বসম্মতভাবে সুপারিশ পাঠান বলে জানা গেছে।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বলেন বলেন: যদি কোনও মন্ত্রী একটি সুপারিশ অনুমোদন করার জন্য দায়ী থাকেন, তাহলে পুরো ব্যবস্থাই ভেঙে পড়বে।