যশোর জামিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসার একটি ভিডিও নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, মুখ ঢাকা একজন আরবি ভাষায় বক্তব্য দিচ্ছেন। ঠিক তার পাশেই দুই জন কালো কাপড়ে মুখ ঢেকে অস্ত্র হাতে গার্ডের মতো দাঁড়িয়ে আছেন। মঞ্চের আশপাশে বেশ কয়েকজনকে শ্রোতা হিসেবে দেখা যাচ্ছে। তবে যশোর সদর থানার রামনগর ইউনিয়নের রাজার হাটে অবস্থিত মাদ্রাসায় মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) আয়োজিত সেই অনুষ্ঠানটি ‘যেমন খুশি তেমন সাজো’ বলে জানিয়েছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মাদ্রাসার শিক্ষা সচিব মাকফুর রহমান বলেন, প্রতিবছর মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের নিয়ে বার্ষিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। সেখানে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় তাদের পুরস্কৃত করা হয়। এরই ধারবাহিকতায় গত ১৭ ডিসেম্বর এই মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ছাত্ররা ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে অভিনয় করে দেখায়। এ ছাড়া উপস্থিত বক্তৃতা, হামদ, নাত ও গজল পরিবেশন করা হয়। ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাদের হাতে থাকা অস্ত্রগুলো কাঠ, শোলা ইত্যাদি দিয়ে তৈরি।
জানতে চাইলে মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মুফতি লুৎফুর রহমান ফারুকী বলেন, বিষয়টি কোনো খারাপ উদ্দেশে নিয়ে করা হয়নি। শিক্ষার্থীদের প্রতিভা বিকাশের জন্য এমন আয়োজন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ভিডিও দেখছি। এটি মাদ্রাসার ছাত্রদের প্রতিযোগিতার একটি অংশ। তারা অভিনয়ের অংশ হিসেবে ডামি অস্ত্র ব্যবহার করেছে।