রাজধানীর ভাটারায় যমুনা ফিউচার পার্কে মোবাইল সেট বিক্রির দোকানে চুরির ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছেন ব্যবসায়ীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরাও অংশ নেন।
আজ শনিবার দ্বিতীয় দিনের মতো রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা। এর আগে গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের আগে ও পরে তারা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। ব্যবসায়ীরা যমুনা ফিউচার পার্কের নিরাপত্তা জোরদারের বিষয়ে এক দফা দাবিতে আন্দোলন করেন। তারা বলেন, যমুনা ফিউচার পার্কের মতো শপিং মলে দোকান চুরি হলে আমাদের নিরাপত্তা কোথায়? পরে যমুনা ফিউচার পার্ক কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা নিশ্চিতের আশ্বাস দিলে তারা রাস্তা ছেড়ে চলে যান।
অন্যদিকে, শপিংমলের নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে সড়ক অবরোধ করায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সাধারণ মানুষ। তারা বলছেন, নিরাপত্তা জোরদারের বিষয়টি শপিংমল কর্তৃপক্ষের বিষয় এবং দাবি যথাযথ কর্তৃপক্ষকে করা উচিত ছিল। সেটি না করে এই পথে যাতায়াত করা হাজার হাজার মানুষের ভোগান্তির কথা চিন্তা না করে সড়ক অবরোধ করা হলো।
আন্দোলনকারীদের একজন বলছেন, রাতে মোবাইলের দোকানে চুরি হয়। এর প্রতিবাদে আমরা দোকান মালিক ও কর্মীরা রাস্তায় নেমেছি। সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছি। যমুনা ফিউচার পার্কে কেনাকাটা করতে যাওয়া কয়েকজন বলছেন, শুক্রবার হওয়ায় পরিবার নিয়ে যমুনা ফিউচার পার্কে কেনাকাটা করতে গিয়েছিলাম। কয়েকটা দোকান ঘোরার পর দেখি সব দোকান বন্ধ করে দিচ্ছে দোকান মালিক ও কর্মীরা। পরে জানতে পারলাম যমুনা ফিউচার পার্কে চুরির ঘটনা ঘটেছে।
ফেসবুকের ট্রাফিক অ্যালার্ট গ্রুপে এ নিয়ে অনেকেই পোস্ট দিয়েছেন। ফারহাতুল জান্নাত নামে একজন লিখেছেন, মোবাইল চুরিকে কেন্দ্র করে যমুনা ফিউচার পার্কে মারামারি ভাঙচুর চলছে। আজকে যমুনা ফিউচার পার্কে বেড়াতে আসবেন না।
এছাড়াও ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে অনেক ভিডিও পোস্ট করেছেন আন্দোলনকারীরা। সেখানে দেখা যায়, একটি কাচের দরজা ভাঙচুর করা হয়েছে। সেখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা সদস্যদেরও দেখা গেছে বিভিন্ন ভিডিওতে।
গুলশান ট্রাফিক ডিভিশন জানায়, প্রশাসনের অনুরোধে যমুনার রাস্তা ছেড়ে দিয়েছে অবরোধকারী দোকানিরা। এখন যান চলাচল স্বাভাবিক।
ডিএমপির ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম বলেন, আমরা যতদূর শুনেছি বৃহস্পতিবার রাতে যমুনা ফিউচার পার্কের মোবাইলের দোকানে চুরি হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দোকানদাররা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। তারা যমুনা ফিউচার পার্কের নিরাপত্তার দাবি করেন। জুমার নামাজের আগে ও পরে তারা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ পালন করেন। পরে কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তার আশ্বাস পেয়ে তারা রাস্তা ছেড়ে দেন।