মাদারীপুরের কালকিনিতে অপারেশন থিয়েটার থেকে নবজাতক নিখোঁজের অভিযোগ

রকিবুজ্জামান, মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ

অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়ার আগেও জানতেন গর্ভে দুটি সন্তান রয়েছে কিন্তু অপারেশনের পরে রোগীকে দেয়া হলো একটি বাচ্চা! তাহলে আরেকটি বাচ্চা কোথায় গেল? এমনই অভিযোগ রোগীর স্বজনদের। ঘটনাটি ঘটেছে মাদারীপুরের কালকিনির ভুরঘাটা নিরাময় প্রাইভেট হাসপাতালে।
তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবী তাদেরকে ফাসানোর জন্য রোগীর স্বজনেরা মিথ্যা বলছেন।

গতকাল রাতে কালকিনির ভুরঘাটা নিরাময় প্রাইভেট হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার পূর্ব কমলাপুর গ্রামের ফয়সাল সরদার তার গর্ভবতী স্ত্রী আয়শা আক্তারকে নিয়ে কালকিনি উপজেলার নিরাময় প্রাইভেট হাসপাতালে আসেন। সেখানকার কর্তব্যরত ডিএমএফ সাইফুল ইসলাম ওই রোগীর আল্ট্রাসনো করে যমজ বাচ্চা থাকার বিষয়টি তাদের নিশ্চিত করেন এবং তাদেরকে সিজারিয়ান অপারেশন করার পরামর্শ দেন ঐ চিকিৎসক। পরবর্তীতে তার পরামর্শক্রমে রাতে আয়েশা আক্তারের অপারেশন করানো হয়। অপারেশন চলাকালীন রোগীকে দুটি বাচ্চা দেখানো হলেও অপারেশনের পরে রোগীর লোকজনকে জমজ বাচ্চার পরিবর্তে একটি বাচ্চা হয়েছে বলে জানানো হয়। এতে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রোগীর স্বজনেরা। তাদের দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যেকোনো কারণে বাচ্চা সরিয়ে ফেলেছে।

তবে ভুরঘাটা নিরাময় হাসপাতালের মালিকপক্ষের একজন হান্নান বেপারীর দাবী তাদেরকে ফাসানোর জন্য রোগীর স্বজনেরা মিথ্যা কথা বলছেন।

এদিকে যেকোনো ক্লিনিকে ২৪ ঘন্টা একজন এমবিবিএস ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও ওখানে নেই কোন আরএমও। ডিএমএফ চিকিৎসক দ্বারাই আল্ট্রাসনো সহ সকল চিকিৎসা দেয়া হয়।
ঐ হাসপাতালের ডিএমএফ চিকিৎসক সাইফুল ইসলাম আল্ট্রাসনো করার কথা স্বীকার করে জানান,তিনি আল্ট্রাসনো করে একটি বাচ্চা পেয়েছেন তা রোগীর লোকদের বলেছেন।

এদিকে ভুক্তভোগী ঐ রোগীর শ্বশুর রুহুল আমিন সরদার নিখোঁজ শিশুটিকে ফিরিয়ে দেবার দাবী জানিয়ে কালকিনি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

এ বিষয়ে কালকিনি থানার ওসি মোহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন,ঘটনার খবর পেয়ে আমি নিজে ঐ হাসপাতালে যাই।এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।আমরা তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

একাধিক আল্ট্রাসনো রিপোর্টে দুই বাচ্চা দেখা গেলেও অপারেশনের পর আরেকটি বাচ্চা কোথায় গেল সেই প্রশ্ন রোগীর স্বজনদের।আর এলাকাবাসীর দাবী এরকম হাসপাতালের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কঠোর অভিযানের পাশাপাশি কার্যকরি পদক্ষেপ নেয়া না হলে কমবে না অপচিকিৎসা।