বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের পরিস্থিতির জন্য আওয়ামী লীগ দায়ী!

আওয়ামী লীগ সরকার ও কোনো একটি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী সংস্থার কাছে বাংলাদেশ জিম্মি হবে না বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

রোববার (০৩ নভেম্বর) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আদানি গ্রুপের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের খবরে মর্মাহত সরকার। এ পরিস্থিতির জন্য আওয়ামী লীগ সরকার দায়ী। তবে পাওনা পরিশোধের সর্বক্ষমতা এ সরকারের আছে।

এদিকে আগামী ৭ নভেম্বরের মধ্যে বকেয়া ৮৫০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ না করা হলে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে বাংলাদেশকে জানিয়েছে আদানি পাওয়ার।

গত ৩১ অক্টোবর বকেয়া পরিশোধের নির্ধারিত সময়সীমা পার হওয়ার পর বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৭০ মিলিয়ন ডলারের ঋণপত্র খোলার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তিতে উল্লিখিত শর্ত পূরণ করেনি বিপিডিবি। এদিকে বকেয়া পরিশোধ না করায় বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দেয় ভারতের আদানি গ্রুপ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডলার সংকটের কারণে সময়মতো অর্থ পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ।

বিদ্যুৎকেন্দ্রটির সক্ষমতা এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াট। আদানির পাওনা প্রায় ১০ হাজার ৮৬ কোটি টাকা। এ ছাড়া দেশের কয়লাভিত্তিক বড় দুই বিদ্যুৎকেন্দ্র এস আলম ও রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকেও উৎপাদন কমেছে।

সম্প্রতি আদানি পাওয়ারের (ঝাড়খণ্ড) প্রতিনিধি ও যৌথ সমন্বয় কমিটির সভাপতি এম আর কৃষ্ণ বকেয়ার বিষয়ে সরকারকে চিঠি দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক থেকে ১৭ কোটি ডলারের জন্য প্রয়োজনীয় এলসি প্রদান করেনি এবং ৮৪ কোটি ৬০ লাখ ডলারের (১০ হাজার ৮৬ কোটি টাকা) বকেয়াও শোধ করেনি। সময়মতো এলসি না দেওয়া এবং বকেয়া পরিশোধ না করায় চুক্তির ব্যত্যয় ঘটেছে, যা আদানি বিদ্যুতের সরবরাহ বজায় রাখতে বাধাগ্রস্ত করছে। বকেয়া পরিশোধ ও এলসির অভাবে কয়লা সরবরাহকারী এবং কেন্দ্র পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় মেটানো যাচ্ছে না।

চিঠিতে আদানি পিডিবিকে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানায়। না হলে ৩১ অক্টোবর থেকে সরবরাহ বন্ধ করা হতে পারে বলেও জানায়।