বেশ কিছু বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিরপেক্ষতা পালন করতে পারছে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় এই মন্তব্য করেন ফখরুল।
এ ছাড়া, বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “যদি সরকার পূর্ণ নিরপেক্ষতা পালন করে, তাহলেই তারা নির্বাচন পরিচালনা করা পর্যন্ত থাকবে। তা না হলে নিরপেক্ষ সরকারের প্রয়োজন হবে।”
তবে বিএনপি মহাসচিবের এই ‘নিরপেক্ষ সরকার’-এর দাবি মূলত আরেকটি ১/১১ গঠনের ইঙ্গিত বহন করে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।
তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শেষ দিকে ছাত্রদের পক্ষ থেকে ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ও নাগরিক সমাজের সমন্বয়ে একটি জাতীয় সরকারের দাবি জানানো হয়েছিল। জাতীয় সরকার হলে ছাত্রদের হয়তো সরকারে আসার প্রয়োজন হতো না।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক দীর্ঘ স্ট্যাটাসে মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের বিষয়ে কথা বলেন নাহিদ ইসলাম।
তিনি বলেন, বিএনপি মহাসচিবের নিরপেক্ষ সরকারের দাবি মূলত আরেকটি ১/১১ সরকার গঠনের ইঙ্গিত দেয়। ১/১১ এর বন্দোবস্ত থেকেই আওয়ামী ফ্যাসিজমের উত্থান ঘটেছিল। বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যে সামনের দিকে আরেকটি ১/১১ সরকার এবং গুম-খুন ও জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়ার আলামত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ছাত্রদের নেতৃত্ব মাইনাস করার পরিকল্পনা ৫ অগাস্ট থেকেই শুরু হয়েছে। ৫ অগাস্ট যখন ছাত্র-জনতা রাজপথে লড়াই করছে, তখন অনেক জাতীয় নেতৃবৃন্দ জনগণকে বাদ দিয়ে ক্যান্টনমেন্টে নতুন সরকার গঠনের পরিকল্পনায় ব্যস্ত ছিলেন। শেষ পর্যন্ত বঙ্গভবনে আলোচনা ও বার্গেনিংয়ের মাধ্যমে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।
নাহিদ ইসলাম তার পোস্টে আরও উল্লেখ করেন, জাতীয় সরকারের প্রয়োজনীয়তা তখন বেশি ছিল। কিন্তু বিএনপি তা মেনে নেয়নি। এখন তারা নিরপেক্ষ সরকারের দাবি করে আসছে, যা গণতন্ত্র ও জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে যাবে।