বাউফলে অগ্নিকান্ডে আটটি বসতঘর ভস্মীভূত

পটুয়াখালীর বাউফলে আগ্নিকান্ডের ঘটনায় ৬টি বসতঘর পুড়ে ভস্মীভূত হয়েছে এবং ২টি বসতঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ বুধবার (৩০জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার বগা ফেরিঘাট সংলগ্ন এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।

এই অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি। নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো সব হারিয়ে পথে বসে গেছে বলেছেন স্থানীরা।

স্থানীয়রা জানায়, প্রথমে স্থানীয় আতহার কাজীর বসতঘর থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত ঘটে। খুব দ্রুত সময়ে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পরে। ঘরের লোকজন কিছু বুঝে ওঠার আগেই আগুনের তীব্রতা বেড়ে যায়। একে একে পুড়ে ছাই হয়ে যায় ছয়টি বসতঘর। এছাড়াও দুইটি বসতঘরের আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বসতঘরে কোনো আসবাবপত্র রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। স্থানীয়দের ধারণা বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটতে পারে।

এই অগ্নিকান্ডের ঘটনায় আতাহার কাজী, সবুজ কা‌জী, রেজাউল কা‌জী, দুলাল কাজী, সো‌হেল কা‌জী ও জ‌সিম খানের বসতঘরসহ সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আর আংশিক পুড়েছে র‌ফিক খান ও ফজলুল খান নামের দু’জনের বসতঘর।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, বাউফল ফায়ারসার্ভিস স্টেশনের মুঠোফোন নাম্বারে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও দীর্ঘ সময় কেউ মুঠোফোনের কল রিসিভ করেনি। ঘটনার প্রায় আধা ঘন্টা পরে মুঠোফোনে জানানো সম্ভব হয়। কিন্তু জানানো পরেও ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে প্রায় ১ ঘন্টা বিলম্ব করে ফায়ার সার্ভিস।

বাউফল ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের অয়্যার হাউজ ইন্সপেক্টর মো. সাব্বির আহম্মেদ বলেন, একটি বসতঘরের চুলার আগুন থেকে অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি ঘটেছে। আমরা ৯টা ৫০ মিনিটে অগ্নিকান্ডের খবর জানতে পেরেছি। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে নেই। নদী তীরবর্তী এলাকায় হওয়ায় পানি সাপ্লাই ভালো ছিলো, তাই দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তারা প্রথমে জরুরি সেবা ৯৯৯ নাম্বারে কল দিয়েছিলো। তাদের সংযোগ পেতে হয়তো বিলম্ব হয়েছে। কিন্তু ঘটনাস্থলে যেতে আমরা একটুও বেশি সময় নেইনি। কিন্তু আমাদের গাড়ি নিয়ে স্পটে যাওয়ার মত রাস্তা ছিলো না। ফেরিতে করে নদীপথে স্পটে পৌঁছাতে হয়েছে বলে জানান তিনি।