খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের স্বার্থে এবং জাতির স্বার্থে কোন দিন আপস করেননি। নিজে বাঁচার জন্যও তিনি কোনো দিন আপস করবেন না।
রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে বিদেশে চিকিৎসা নিতে সরকারের পরামর্শ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এ কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার জন্য সারা দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ। শুধু ডা. মুরাদের মতো কয়েকটা পাগল ছাড়া শেখ হাসিনার পাশে আর কেউ নেই।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি) আয়োজিত স্বাধীন বাংলাদেশের বিপন্ন মানবতা ও বেগম খালেদা জিয়া শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।
এনডিপির চেয়ারম্যান কে এম আবু তাহেরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ ইব্রাহিম বীর প্রতীক, জাতীয় পার্টির সভাপতি মোস্তফা জামাল হায়দার, নাগরিক ঐক্যের চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান মান্না, গণ অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক নুর প্রমুখ।
গয়েশ্বর বলেন, ‘যে দেশে গণতন্ত্র থাকে না সে দেশে মানবিক অধিকারগুলোও থাকে না। মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য আমরা আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। সরকারের উচ্ছিষ্ট খাওয়া দলগুলো বাদে অন্য সব দলগুলোকে নিয়ে একটা বড় আন্দোলনের রূপরেখা অনেক আগেই তৈরি করা হয়েছে। তবে এখনই এটা প্রকাশ করার সময় না।’
ডা. মুরাদের পদত্যাগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শুধু পদত্যাগ করেই তিনি পার পাবেন এটা মেনে নেওয়া হবে না। সাংবাদিকদের একটা লেখা পছন্দ না হলেই তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠাতে পারেন। এখন মুরাদকেও আইসিটি আইনে মামলা দিয়ে জেলে নিতে হবে।
মাহমুদুর রহমান মান্না খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠানোর দাবি করে বলেন, এর আগে দণ্ডপ্রাপ্ত অবস্থাতেই আ স ম আবদুর রব, মোহাম্মদ নাসিম বিদেশে চিকিৎসার জন্য গিয়েছেন। বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনারা শুধু বেগম জিয়ার চিকিৎসার জন্য কথা বলেন কিন্তু দেশের সাধারণ মানুষের চিকিৎসা নিয়ে কথা বলেন না। পুরো মানুষের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হলে এই সরকারকে হটানো ছাড়া উপায় নাই।
নুরুল হক নুর বলেন, খালেদা জিয়াকে ধীরে ধীরে হত্যার দিকে নিয়ে যাচ্ছে সরকার। খালেদা জিয়ার শরীরে সরকার স্লো পয়জন বা এমন কিছু করেছে যেটা বিদেশে নিলে বের হয়ে আসবে। এ জন্যই তাকে বিদেশে চিকিৎসা নিতে দেওয়া হচ্ছে না। সরকার যদি সৎ হয় তাহলে তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো উচিত।
বিএনপির সমালোচনা করে নুর বলেন, জনগণের দুঃখ-দুর্দশায় আপনারা আন্দোলনে নামেননি। এখন প্রেসক্লাবে ইনডোর আলোচনা করে লাভ কি।
