বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন দাবি করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) অর্থনীতি বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থী প্রক্টর বরাবর অভিযোগ করেছিলেন। অভিযোগপত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী মোঃ শফিকুর রহমান ওরফে শফিক মুন্সির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করা হয়। কিন্তু এসব অভিযোগের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে কোন প্রমাণ খুঁজে পায়নি এ বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩ জানুয়ারি অভিযোগকারী প্রক্টর বরাবর নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেন। দুদিন পর (২৫ শে জানুয়ারি) আবেদনটি গৃহীত হলে আবেদনে উল্লিখিত অভিযোগের বিষয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধান করা হয়। অভিযুক্ত এবং অভিযোগকারীর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের পক্ষ থেকে একাধিকবার বিষয়টি নিয়ে কথা বলা হয় বলেও জানিয়েছে নির্ভরযোগ্য সূত্র।
কিন্তু পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অভিযোগকারী অভিযোগের বিষয়বস্তু সহ নিরাপত্তাহীনতার দাবি উপস্থাপন করলে বিষয়টি নিয়ে উচ্চতর অনুসন্ধানের নিমিত্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। দুজন সহকারী প্রক্টর এবং অর্থনীতি বিভাগের একজন ছাত্র উপদেষ্টার সমন্বয়ে গঠিত তদন্ত কমিটিকে ১০ (দশ) কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। গত ১২ ফেব্রুয়ারী প্রতিবেদন জমা দেয় উক্ত কমিটি।
এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটির একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, অর্থনীতি বিভাগের ঐ শিক্ষার্থী প্রক্টর বরাবর যে অভিযোগপত্র দায়ের করেছিল আমরা সেটা পর্যালোচনা করে ৪টি অভিযোগ চিহ্নিত করেছিলাম। কিন্তু কোনো অভিযোগের বিপরীতে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ অভিযোগকারী আমাদের কাছে পেশ করতে পারেননি। ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে মনে হয়েছে অভিযুক্ত ব্যক্তি শত্রুতার শিকার।
এই সদস্য আরো বলেন, অভিযোগ দায়েরের পর বিভিন্ন প্রভাবশালী মহল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিয়েছে বলে অভিযোগকারী দাবি করেছেন। আমরা তার কথা গুরুত্বের সঙ্গে শুনেছি এবং কয়েকটি বিষয়ে সুপারিশ করে ভিসি অফিস ও প্রক্টর অফিসে তদন্ত প্রতিবেদন পাঠিয়ে দিয়েছি।
বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোঃ আব্দুল কাইউম বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন নির্ধারিত সময়ের আগেই জমা দিয়েছে তদন্ত কমিটি৷পরবর্তী করণীয় প্রতিবেদন কর্তৃপক্ষের সাথে বসে আলোচনা করে ঠিক করা হবে৷
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শফিক মুন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,আমি সাংবাদিকতা করতে গিয়ে যেসব মহলের বিরাগভাজন হয়েছি তারা ষড়যন্ত্র করে এসব অভিযোগ সামনে এনেছিল। পুরো ঘটনাটি আমি ভুলে যেতে চাই এবং এ সংক্রান্ত কোনো কথাবার্তা বলতে ইচ্ছুক নই।