
কুড়িগ্রামে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ’র হত্যাকাণ্ডের শিকার শহীদ ফেলানীর বাবা-মা ও পরিবারের সদস্যদের সাথে ইফতার করেছেন সাংবাদিকরা।
এসময় ফেলানীর পরিবারকে ঈদ উপহার হিসেবে নগদ অর্থ দেওয়া হয়। মিডিয়া মনিটর এর পক্ষ থেকে এই ইফতার আয়োজন ও ফেলানীর পরিবারকে ঈদ উপহার প্রদান করা হয়।
এসময় মিডিয়া মনিটরের প্রধান সমন্বয়ক ও ইয়ুথ জার্নালিস্ট কমিউনিটির সভাপতি আহসান কামরুল, মিডিয়া মনিটরের সমন্বয়ক নাজমুল হাসানসহ প্রতিনিধি দল এবং বিজিবির মিডিয়া কনসালটেন্ট সাঈফ ইবনে রফিক, বিজিবি লালমনিরহাট ব্যাটালিয়নের (১৫ বিজিবি) সহকারী পরিচালক মো. মিজানুর রহমানসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ফেলানীর বাবা মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ভারতীয় বাহিনী সীমান্তে আমার চোখের সামনে মেয়েকে হত্যা করে কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রেখেছিল। এতবছর পরও আমি আমার ফেলানীর হত্যার বিচার পাইনি।
খুনি বিএসএফ সদস্য অমীয় ঘোষ মুক্ত বাতাসে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমি তার সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। ফেলানীর মা বলেন, দেশে আসলে আমার মেয়ের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল।
আসার পথেই আমার মেয়েকে নির্মমভাবে হত্যা করল বিএসএফ। আমার মেয়ে তো কোন অন্যায় করেনি। কেন তাহলে আমার মেয়েকে হত্যা করা হলো? কেউ যদি অপরাধ করেও সেজন্য আইনকানুন আছে। নিয়ম আছে। খুন করে ফেলার অধিকার কারও নেই।
আমি এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই। আমার মেয়ের হত্যার বিচার হলে সীমান্তে হত্যাকাণ্ড হবে না। আর কোন মায়ের বুক খালি হবে না।