থার্টি ফাস্ট উদযাপন করতে রাতে ফানুস উড়িয়েছে রাজধানীবাসী। উদযাপনের এই ফানুসগুলো বাসা-বাড়িতে গিয়ে পড়েছে। এতে বিভিন্ন জায়গায় আগুন লাগার খবর পাওয়া গেছে। সারাদেশ থেকে প্রায় দুই শ’ স্থানে আগুন লাগার সংবাদ আসে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কন্ট্রোল রুম এবং জরুরি সেবা ৯৯৯ এর কাছে।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, রাজধানীর বেশ কিছু স্থানে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। সব স্থানে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা।
শনিবার দিবাগত রাতে ফায়ার সার্ভিসের গণমাধ্যম কর্মকর্তা মোঃ রায়হান বলেন, ঢাকাসহ আশপাশে যেসব আগুন লেগেছিল সবগুলো আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। আগুনগুলো বড় না হওয়ায় তেমন কোনো সমস্যা হয়নি। এছাড়া উত্তরা এলাকায় একটি গাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিলো।
এর আগে ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুমের কর্মকর্তা এরশাদ হোসেন জানান, মধ্যরাতে রাজধানীর ধানমন্ডি, মোহাম্মাদপুর, মিরপুর, তেজগাঁও, খিলগাঁও, ডেমরা, যাত্রাবাড়ী, সূত্রাপুর, লালবাগ, রায়েরবাগ, কেরানীগঞ্জসহ আরও কিছু স্থানের বিভিন্ন জায়গায় বাসার ছাদ ও বিদ্যুতের তারে আগুন লাগার খবর পাওয়া গেছে। প্রতিটি স্থানে ফায়ার সার্ভিসের দুটি করে ইউনিট পাঠানো হয়।
তিনি বলেন, ঢাকা শহরে ফায়ার সার্ভিসের মোট সাতটি স্টেশন থেকে কাজ হচ্ছে।
রাতে ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুম থেকে আরো বলা হয়, একাধিক স্থানে আগুন লাগার খবর পেয়েছি আমরা। সেগুলো আমরা তালিকাভুক্ত করেছি। এর মধ্যে সুনির্দিষ্ট করে বলতে গেলে মাতুয়াইল স্কুল রোডের একটি বাড়ির ছাদে আগুন লেগেছিলো। এছাড়া ধোলাইপাড় বড় মসজিদের পাশে একটি ভবনের ছাদেও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
এসব অগ্নিকাণ্ডে নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের একাধিক ইউনিট। তবে কোনো আগুনই ভয়াবহ আকার ধারণ করেনি।
থার্টি ফার্স্ট নাইট ও ইংরেজি নববর্ষ উদযাপন ঘিরে পটকা বা আতশবাজি ফোটানোয় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।