
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বাসিন্দা সুদেব কুমার নিজ গ্রামেরই এক দালালের খপ্পরে পরে নিঃস্ব হয়েছেন। তার জন্য দুই বছরের জন্য চাকরির ব্যবস্থা করেছেন এমন চুক্তিতে তাকে সৌদি আরবে নিয়ে যায় ওই দালাল। কিন্তু সৌদি আরবের নিয়মানুযায়ী ৩ মাসের পরে ওয়ার্ক পারমিট (আকামা) নবায়ন করতে হয়। ঠিক সেসময় ওই দালাল তার আকামা নবায়ন না করে দিয়ে অন্যত্র চলে যায়৷ এতেই বিপাকে পরে যায় সুদেব কুমার। তখন না খেয়ে থাকতে হয়ে তাকে। রমজান মাসে মসজিদে মসজিদে ঘুরে ইফতার খেয়ে বেঁচে ছিলেন তিনি।
মঙ্গলবার (১১ফেব্রুয়ারি) বাউফল রিপোর্টারস ইউনিটি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিবেশী আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী সুদেব কুমার।
সুদেব কুমার জানান, তিনি হতদরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছেন। অভাব অনটন দূর করতে বিদেশ যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।কালিশুরী ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের আলমগীর হোসেন তাকে সৌদি আরবে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে দুই বছরের ওয়ার্ক পারমিট (আকামা) দেয়া হবে চুক্তিতে ৪ লাখ টাকার বিনিময়ে তাকে সৌদি আরবে নিয়ে যান দালাল আলমগীর। কিন্তু তিন মাস পরেই তাকে রেখে পালিয়ে যায় আলমগীর। দীর্ঘদিন কষ্টে জীবন কাটিয়ে গ্রামের বাড়ি থেকে ২দফায় টাকা নিয়ে দেশে ফিরতে পারেন ২০২৪ সালের জুলাই মাসে৷ দেশে ফিরেও শান্তি নেই তার। ভালো থাকার আশায় ধারদেনা ও ঋণ করে বিদেশ গিয়ে নিঃস্ব হয়ে ফেরায় পাওনাদারদের দেনা পরিশোধ করতে পারছেন না তিনি। ধারদেনা ও ঋণ শোধের ভয়ে এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি।
অভিযোগ অস্বীকার করে আলমগীর হোসেন যমুনা নিউজকে বলেন, সুদেবের অভিযোগ মিথ্যা। চুক্তি অনুযায়ী তাকে চাকরিও দেয়া হইছে। কিন্তু ৩ মাস পরে মালিক তাকে অন্য কোম্পানিতে চাকরিতে যেতে বললে তিনি রাজি হয়নি।
কিভাবে অন্যদের বিদেশে নেন জানতে চাইলে আলমগীর বলেন, আমার মালিক ৪ টা ভিসা দিয়েছিলো তাই গ্রামের ৪ টা ছেলেকে নিয়ে গেছিলাম। দুজন চলে এসেছে একজন এখনো সেখানে আছে। সুদেবের বিষয়টা নিয়ে স্থানীয় ভাবে সালিশ বৈঠকে বসবেন বলেও জানান তিনি।