ঠাকুরগাঁওয়ে কোর্টের মাধ্যমে বিয়ে করার অপরাধে নাসিরুল (২২) নামের এক যুবককে গাছে বেঁধে অমানবিক নির্যাতনের ঘটনায় শাশুড়ি সেলিনা আক্তার (৪৫) কে আটক করেছে পুলিশ।
গত সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার ভাঙাবাড়ি এলাকায় মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের এ ঘটনা ঘটলে গতকাল শুক্রবার সকালে শাশুড়ি সেলিনা আক্তারকে আটক করে পুলিশ।
এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, গরীব পরিবারের সন্তান নাসিরুলের সাথে একই এলাকার করিমুলের মেয়ে কেয়ার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। দীর্ঘদিন সম্পর্কে থাকার পর তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। এক পর্যায়ে পরিবারকে না জানিয়ে তারা বিয়ে করে আতœগোপনে থাকে। এদিকে মেয়ের পরিবার থেকে ছেলের পরিবারকে মেয়েকে ফিরিয়ে দিতে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। বিয়ে মেনে নেবার প্রতিশ্রুতিও দেয়। মেয়ের পরিবার তুলনামূলক ধন্যাট্য ও ক্ষমতাধর হওয়ায় ছেলের পরিবার ভিতো হয় এবং ছেলেকে ফিরে আসার আকুতি জানায়। মেনে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি পেয়ে ছেলে ও মেয়েকে পরিবারের কাছে দিয়ে আসে।
পরে ২০ সেপ্টেম্বর বিকেলে বউ এর সাথে দেখা করতে তার বাসায় যায় নাসিরুল। তখনি মেয়ের বাবা-মা নাসিরুল কে গাছের সাথে বেধে অমানবিক নির্যাতন করতে থাকে। অত্যাচারের সময় ছেলেটি চিৎকার করে কেঁদে কেঁদে ছেড়ে দেবার আকুতি জানায়। বার বার ক্ষমা চায়। তবুও তাকে মারধোর করতে থাকে মেয়ের পরিবার। শেষে ছেলেটিকে আধমরা অবস্থায় পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে রাণীংশকৈল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তাকে উদ্ধারের সময় সেখানে তার শশুড় বাড়ির সবাই পালিয়ে যায় বলেই কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
রানীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদ ইকবাল বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নির্যাতনের ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর ওই যুবকের শাশুড়িকে আটক করা হয়েছে। অন্যান্য নির্যাতনকারীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে। এ ঘটনায় ওই যুবকের বাবা থানায় একটি অভিযোগ করেছেন।