সন্তানকে বাঁচাতে নিজের জীবন বাজি রেখে চিতাবাঘের সঙ্গে লড়াই করেছেন এক মা। ভারতের মধ্যপ্রদেশের ঘটেছে এ ঘটনা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, গত রোববার (২৮ নভেম্বর) স্থানীয় সময় রাতে মধ্যপ্রদেশের সিধি জেলার “সঞ্জয় টাইগার রিজার্ভ”-এর বাফার জোনের বাদি ঝরিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, কিরণ নামের বাইগা উপজাতির ওই নারী, তিন সন্তানকে নিয়ে তাদের কুঁড়েঘরের বাইরে আগুনের পাশে বসে ছিলেন, যখন হঠাৎ করেই চিতাবাঘটি তাদের আক্রমণ করে।
বুধবার (১ ডিসেম্বর) বন বিভাগের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, চিতাবাঘটি কিরণের আট বছরের ছেলেকে জঙ্গলে টেনে নিয়ে গেলেও সাহস না হারিয়ে অন্য দুই সন্তানকে ঘরে বন্দি করে রেখে, বাঘের পেছনে ছুটে যান তিনি।
টাইগার রিজার্ভের ডিরেক্টর ওয়াই পি সিং বলেন, কিরণ প্রায় এক কিলোমিটার পথ বাঘটিকে তাড়া করেন। এরই মধ্যে বাঘটি শিশুটিকে ঝোপের মধ্যে নিয়ে যায়। এতে কিরণও সাহস না হারিয়ে লাঠি দিয়ে চিতাবাঘটিকে ভয় দেখাতে থাকেন। এক পর্যায়ে বাঘটি ভয় পেয়ে শিশুটিকে ছেড়ে চলে গেলে কিরণও এগিয়ে ঝোপের মধ্যে যান। তখনই বাঘটি আবারও তাদের আক্রমণ করে।
বন বিভাগের কর্মীরা জানান, চিতাবাঘের আক্রমণে ওই নারী ও তার সন্তান আহত হলেও তিনি মনোবল না হারিয়ে লড়াই করে গেছেন এবং এক সময় সন্তানকে নিয়ে জীবিত ফিরে এসেছেন।
ওয়াই পি সিং বলেন, শিশুটির পিঠে, গালে ও চোখে বাঘের নখের আচড় লেগেছে। কিরণ নিজেও আহত হয়েছেন।
বাফার জোন রেঞ্জার অসীম ভুরিয়া তাদের উদ্ধার করে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান। তাদের চিকিৎসার যাবতীয় খরচ বন বিভাগ বহন করবে বলেও ওয়াই পি সিং জানান।
এদিকে, এ ঘটনায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান কিরণের সাহসের প্রশংসা করে একটি টুইট বার্তা দিয়েছেন।