খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বিদেশেই হতে হবে কেন: তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়ার যেসব রোগের কথা বলা হচ্ছে সেগুলো বহু বছরের পুরনো। তার আথ্রাইটিসের যে সমস্যা সেটি বিশ বছরের পুরনো। সেই সমস্যা নিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেত্রী এবং বিএনপির মতো একটি বড় দলের চেয়ারপারসনের দায়িত্ব পালন করেছেন। একই সমস্যাকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বারবার দেখানো সমীচীন নয়।

শুক্রবার (১২ মার্চ) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের নতুন তালিকাভুক্ত শিল্পীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি, তিনি আদালত কর্তৃক খালাস পাননি, আদালত থেকে জামিনও পাননি। তার পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী দয়া করে প্রশাসনিক ক্ষমতাবলে তাকে মুক্তি দিয়েছেন ছয়মাসের জন্য। যেটি একদফা বাড়ানো হয়েছে, আরো একদফা বাড়ানোর জন্য তারা আবেদন করেছেন, এটি প্রক্রিয়াধীন আছে। তাকে বিদেশেই নিয়ে যেতে হবে এই প্রশ্ন কেন ? চিকিৎসা তো বাংলাদেশেও আছে।

বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে রাজনীতি না করতে বিএনপিকে অনুরোধ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার প্রশাসনিক ক্ষমতাবলে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে ঘরে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন সে জন্য বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের উচিত ছিল প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দেয়া। সেটি না দিয়ে বরং তিনি বলছেন, তাকে বিদেশ নিয়ে যেতে হবে। বাংলাদেশে তো অনেকেরই চিকিৎসা হয়, আমাদের অনেক এমপি এ করোনাকালে মৃত্যুবরণ করেছেন, কাউকে কিন্তু বিদেশ নিয়ে যাওয়া হয়নি। অনেকেই এদেশে চিকিৎসা করে ভালো হয়েছেন।

তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া যে আজকে মুক্তি পেয়ে জেলখানার বাইরে ঘরে অবস্থান করছেন সেটি বঙ্গবন্ধু কন্যার মানবিকতার কারণে হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে সেই নিবেদন করা হয়েছিল। বিএনপি নেতাদের কথা এবং কাজের মধ্যে সবসময় দ্বিচারিতা।

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের অবস্থান চট্টগ্রামে হলেও এটি চট্টগ্রামের আঞ্চলিক কোনো কেন্দ্র নয়, এটি একটি জাতীয় কেন্দ্র। যারা কেন্দ্র পরিচালনার সঙ্গে জড়িত এবং যারা শিল্পী-কলাকুশলী আছেন তাদেরও এটি মাথায় রাখতে হবে।

তিনি বলেন, দেশের অন্যান্য বিভাগীয় শহরগুলোয় বাংলাদেশ টেলিভিশনের আরো ছয়টি কেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এরইমধ্যে সেই প্রকল্প প্রি-একনেকে পাস হয়েছে, শিগগিরই কার্যক্রম শুরু হবে।

বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক সোহরাব হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার নিতাই কুমার ভট্টাচার্য। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী, তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মিজান উল আলম, একুশে পদকপ্রাপ্ত নাট্যব্যক্তিত্ব আহমেদ ইকবাল হায়দার প্রমুখ।