এবার ইভ্যালির সঙ্গে লেনদেন বন্ধ করল বিকাশ

বিতর্কিত ইকমার্স কোম্পানি ইভ্যালির সঙ্গে আর্থিক লেনদেন বন্ধ করেছে মোবাইল ফোন ভিত্তিক অর্থ স্থানান্তর (এমএফএস) সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ। নিজেদের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে আজ শনিবার এ কথা জানিয়েছে তারা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইভ্যালি ছাড়াও আরও নয়টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিকাশের পেমেন্ট গেটওয়ে সেবা সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- আলিশা মার্ট, ধামাকা শপিং, ই-অরেঞ্জ, সিরাজগঞ্জ শপ, আলাদীনের প্রদীপ, কিউকুম, বুম বুম, আদিয়ান মার্ট ও নিডস।

বাংলাদেশ ব্যাংক গত জুনের এক প্রতিবেদনে জানায়, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-ভ্যালি লোকসানে পণ্য বিক্রি করছে। যে কারণে দেশের ই-কমার্স ব্যবসায় অসুস্থ প্রতিযোগিতা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে ভালো ও সৎ ই-কমার্স ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন এবং ভবিষ্যতে এই খাতের প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট হবে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ইভ্যালির মোট দায় ৪০৭.১৮ কোটি টাকা। স্বাভাবিক নিয়মে প্রতিষ্ঠানটির কাছে কমপক্ষে ৪০৩.৮০ কোটি টাকার চলতি সম্পদ থাকার কথা থাকলেও রয়েছে মাত্র ৬৫.১৭ কোটি টাকা। কোম্পানিটি চলতি দায় ও লোকসানের দুষ্ট চক্রে বাধা পড়েছে। ক্রমাগতভাবে এমন দায় তৈরি হয়েছে যে প্রতিষ্ঠানটির অস্তিত্ব টিকে না থাকার ঝুঁকিও তৈরি হচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এমন প্রতিবেদনের পরে ব্র্যাক ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংকসহ একাধিক ব্যাংক ইভ্যালির সঙ্গে লেনদেন স্থগিত করে। অন্যদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দুর্নীতি দমন কমিশনকে ইভ্যালির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়। এর প্রেক্ষিতে ইভ্যালির বিরুদ্ধে ৩৩৮ কোটি টাকা আত্মসাতের শঙ্কায় তদন্ত শুরু করে দুদক।

একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল এবং চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কে এম ইমরুল কায়েশ তাদের দুজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ জারি করেন।