ইন্স্যুরেন্সের কথা বলে এলাকার সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে ঠাকুরগাঁওয়ের সামসুল আলম নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তার প্রতারণার ফাঁদে পরে পুজিঁ হারিয়ে অর্থ আদায়ের দাবিতে অভিযুক্তের বাসা ঘেড়াও করে ভুক্তভুগীরা।
জমাকৃত টাকা উদ্ধারে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সুখানপুখুরি ইউনিয়নের নতুন পাঁচপীর গ্রামসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের শতাধিক মানুষ রাস্তায় নেমেছে। প্রতারণার ফাঁদে পরে সর্বশান্ত হয়ে আজ সকাল থেকে প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্সের এরিয়া ম্যানেজার সামসুল আলমের পাচপীর গ্রামে বাসা ঘেড়াও করে পুঁজি হারানো মানুষগুলো।
জানা যায়, সামসুল আলমের কথা মত গ্রামের সহজ সরল মানুষ দ্বিগুণ লাভের আশায় ইন্স্যুরেন্স খুলে। দু-একটি কিস্তির কাগজপত্র ঠিক থাকলেও অফিস দুরে হওয়ায় সামসুল নিজেই কিস্তির টাকা উত্তোলন করতেন। আর জমাকৃত টাকার বিপরিতে ধরিয়ে দিতেন ভুঁয়া কাগজ। এরই মধ্যে অনেকের মেয়াদ পূর্ন হলে টাকা উত্তোলন করতে গিয়ে অফিস পর্যন্ত এসে বুঝতে পারে প্রতারণার শিকার হয়েছে। জমা হয়নি একটি টাকাও। বিষয়টি এলাকায় জানাজানির পর অর্থ আদায়ে তার বাড়ি ঘেড়াও করে বিক্ষোভ কর্মসুচি পালন করে ভুক্তভুগীরা। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
ওই গ্রামের আব্দুল মালেক, নাসিমা বেগম, নাজমা খাতুনসহ প্রতারণার শিকার হওয়া অনেকেই জানান, আমরা গ্রামের সহজ সরল মানুষ বিশ্বাস করে সামসুলের হাতে টাকা দিয়েছি। তিনি আমাদের কাগজ দিছেন। পরে দেখা গেছে সেই কাগজ ভুঁয়া। মেয়ার শেষ হওয়ার পর আমরা জানতে পারি টাকা জমা হয়নি। তার কাছে বার বার ধর্না দিয়েও কোন লাভ হচ্ছে না। তিনি ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি হওয়ায় টাকা ফেরত না দিয়ে উল্টো হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। আমরা বাধ্য হয়ে তার বাড়ি ঘেড়াও করেছি।
সামসুল আলমের স্ত্রী কাসনা বেগম জানান আমার স্বামী কয়েকজনের কাছে টাকা নিয়ে নাকি ভুয়া কাগজ দিয়েছে। তার সমাধান আমরা দিতে চেয়েছি। কিন্তু হঠাৎ করে বাড়ি ঘেড়াও একা চক্রান্ত বলে দাবি তার।
আর অভিযুক্ত সামসুল আলম জানান, সব টাকা অফিসে জমা দেয়া হয়েছে। পারলে তারা আমার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারেন।
এ বিষয়ে সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রমান পাওয়া গেলে আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
জেলা শহরের রমজান প্লাজায় অবস্থিত প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা চালিয়ে আসছে।