দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দেওয়ার দাবিতে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির অনশন কর্মসূচি শুরু হয়েছে। শনিবার (২০ নভেম্বর) দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনশনটি শুরু হয়।
যেখানে অনশন চলছে তার দুই পাশে এবং পাশের রাস্তার উল্টো পাশে তিন পয়েন্টে পুলিশের বিপুল সংখ্যক সদস্য অবস্থান নিয়েছেন। রাখা হয়েছে জল কামান ও কয়েকটি প্রিজন ভ্যান।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী রাজধানীসহ সারা দেশে সকাল ৯টা থেকে অনশনে বসেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। অনশন চলছে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
রাজধানীতে অনশন হচ্ছে নয়া পল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে। সেখানে রয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মঈন খান, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানুল্লাহ আমানসহ শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের অনেকে। রয়েছেন বহু কর্মী।
অনশন থেকে সহিংসতা না ছড়াতে নেতাকর্মীদের আহ্বান জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, আমি বার বার বলছি, এটি একটি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি। আপনাদের আহ্বান জানাচ্ছি, বিকেল ৪টা পর্যন্ত যে যেখানে বসে আছেন সেখানে বসে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি সম্পন্ন করবেন।
গত ১৩ নভেম্বর বিকেলে খালেদা জিয়াকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে এভারকেয়ারে ভর্তি করানো হয়। শারীরিক অবস্থার কিছুটা অবনতি হওয়ায় পরদিন ভোরে তাকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলছে তার।
খালেদার অবস্থা ভালো নয় বলে বিএনপি থেকে জানানো হয়েছে। মানবিক স্বার্থে হলেও দলীয় প্রধানকে বিদেশ নিয়ে যেতে সরকারের অনুমতি চেয়েছেন তারা। বিদেশ পাঠিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জীবন বাঁচাতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তবে এ বিষয়ে সরকার থেকে সবুজ সংকেত পাওয়া যাচ্ছে না। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক কয়েকবারই বলেছেন, খালেদা জিয়ার করা আবেদনটি ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা অনুযায়ী আগেই নিষ্পত্তি হয়ে যাওয়ায় তাকে বিদেশ যেতে অনুমতি দেওয়ার আইনি কোনো সুযোগ নেই।