ভিন্নধর্মী অনুষ্ঠান এবং বড় আয়োজনের বরাবরই চ্যানেল আইয়ের রয়েছে সুখ্যাতি। দেশের প্রথম এই ডিজিটাল টেলিভিশন চ্যানেলে ১ যুগ ধরে তরুণ নির্মাতা রেজাউল করিম চৌধুরী কাজল সৃষ্টিশীলতাকে সঙ্গী করে কঠোর পরিশ্রম ও দৃঢ়তার সাথে এগিয়ে চলেছেন আপন লক্ষ্য অর্জনে।
২০১১ সালে চাকরীর শুরু থেকেই চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস্, চ্যানেল আই সেরা কণ্ঠ, এসসিবি চ্যানেল আই এ্যাগ্রো অ্যাওয়ার্ড, চ্যানেল আই ব্যান্ড ফেস্ট, স্বর্ণ-কিশোরী, স্বর্ণ-কিশোরী বার্তা, সুপার ব্র্যান্ড বাংলাদেশ, ওশান ড্যান্স ফেস্টিভ্যাল, আমাদের সন্তানেরা, লোকজ ক্রীড়া উৎসব-এর মতো অনুষ্ঠানগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ দ্বায়িত্ব পালন করে চলেছেন এই তরুণ নির্মাতা।
রেজাউল করিম চৌঃ কাজল সহকারি পরিচালক ও পার্শ্ব চরিত্রের অভিনেতা হিসেবে কাজ করেছেন একাকী মনের খেয়াল, অবগিনী মা, স্বপ্নের দিন, চক্রজাল, কুটুম পাখি, সরুপ অরূপ ও জামিন নাটকে।
তরুণ এই নির্মাতা পরিচালক হিসেবে বিশেষ দিনের জন্য নিজেই নির্মাণ করেছেন প্রায় ২০টি অনুষ্ঠান, ৫০টির বেশি আলোচনা অনুষ্ঠান, ইউএসএ-বাংলাদেশী অভিবাসীর খবর নিয়ে সংবাদভিত্তিক অনুষ্ঠান- সংবাদ পরিক্রমা ও হৃদয়ে স্বদেশের ১৩৪টি পর্ব, ৭৭টি বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র, ১০টি টিভিসি, ৮টি ওভিসি (এর মধ্যে কাড়াক মাসালা টি উল্লেখযোগ্য)।
তিনি কত্তদিন স্কুলে যাই না ও থেমে থাকা যাবে না নামে দুটি নাটক রচনা ও নির্মাণ করেছেন। কত্তদিন স্কুলে যাই না নাটকটির জন্য ২০২২ সালে শ্রেষ্ঠ নাট্য নির্দেশক হিসেবে ট্রাব অ্যাওয়ার্ড পান তিনি। উক্ত নাটকটি ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ২০২২ ও কলকাতা শিশু চলচ্চিত্র উৎসব ২০২২ এ প্রদর্শিত হয়। রেজাউল করিম চৌঃ কাজল তার প্রোডাকশনে ব্যবহারের জন্য ৩টি গানও রচনা করেছেন।
এছাড়াও রেজাউল করিম চৌঃ কাজল, উপস্থাপক ও নির্মাতা হিসেবে প্রায় ২০টি অনুন্ধানমূলক প্রতিবেদন করেন। কক্সবাজারের আলোচিত সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যাকাণ্ড, বরগুনার রিফাত হত্যাকাণ্ড, লালমনিরহাটে কৃষক দুলাল চন্দ্র রায় স্ত্রীকে হাতি উপহারের নামে ব্যবসার ফাঁদ এবং রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে জোরপূর্বক কৃষি জমি দখল করে ইটভাটা নির্মাণ। এই প্রতিবেদনগুলো প্রচারের পরে বন্ধ হয়ে যায় ইটভাটা নির্মাণ। কৃষকরা ফিরে পান তাদের চাষের জমি এবং তৎকালীন পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপে বন অধিদপ্তর নিয়ে নেয় দুলাল চন্দ্রের হাতি। তার নির্মিত প্রায় সবগুলো কাজই চ্যানেল আই এবং দর্শক মহলেও ব্যাপক সাড়া পেয়েছে।
তরুণ নির্মাতা রেজাউল করিম চৌঃ কাজল বলেন, এখনও কিছুই শিখতে পারলাম না। প্রতি ক্ষণে, প্রতি মুহূর্তে শুধুই শেখার চেষ্টা করে চলেছি। মানুষের জীবনটা তো নাটক কিংবা সিনেমা নয়। এক বিন্দু থেকে শুরু করে আরেক বিন্দুতে গিয়ে শেষ হবে। কাজকে ভালোবেসে নিষ্ঠা ও পরিশ্রমের সঙ্গে আমার সর্বোচ্চ গতিতে শুধুই দৌড়াচ্ছি। দৌড়াতে গিয়ে অনেক কাছের মানুষের অপছন্দের পাত্রও হয়েছি, তারপরও ছুটে চলেছি অবিরাম। শুধু এটুকুই জানি এবং মানি, সময় খুবই কম, অল্পকিছুদিনের এ পৃথিবীতে চূড়ান্ত লক্ষ্যে আমাকে পৌঁছাতেই হবে।