নিজ জেলায় সংবর্ধনা পেল বিশ্বজয়ী হাফেজ তাকরীম

21

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে উষ্ণ সংবর্ধনা ও ভালোবাসায় সিক্ত হলো বিশ্বজয়ী কোরআনের হাফেজ সালেহ আহমাদ তাকরীম।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তাকে সংবর্ধিত করা হয়। আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় দেশের নাম উজ্জ্বল করে সাফল্যে বয়ে আনায় তাকে এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

সৌদি আরবের পবিত্র মক্কায় ৪২তম বাদশাহ আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় ১১১ দেশের ১৫৩ হাফেজের মধ্যকার এ প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অর্জন করে তাকরিম। এ খবর জানার পর থেকেই বিশ্বজয়ী তাকরিমকে অভিবাদন জানাচ্ছেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তাকরিমকে অভিনন্দন জানিয়েছে লাখো মানুষ। তৃতীয় স্থান অর্জন করার সাফল্যেস্বরূপ হাফেজ সালেহ আহমাদ তাকরিম পুরস্কার হিসাবে পেয়েছেন ১ লাখ রিয়াল (প্রায় সাড়ে ২৭ লাখ টাকা) সঙ্গে সনদ ও সম্মাননা।

হাফেজ সালেহ আহমদ তাকরিমের বাড়ি টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ভাদ্রা গ্রামে। তার বাবা হাফেজ আব্দুর রহমান মাদরাসার শিক্ষক এবং মা গৃহিণী। ছোট বেলা থেকে তাকরিম তার বাবার কাছে হেফজ শিখেছে। তারপর তাকে মিরপুরের হেফজ খানায় ভর্তি করা হয়। সেখানে থেকেই সে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।

নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহেদুজ্জামান বলেন, তার এই কৃতিত্ব অর্জন নাগরপুর তথা সরাদেশের গৌরব। আগেই আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম যে সে গ্রামের বাড়িতে আসলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেয়া হবে। তাই উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে নাগরপুরের সর্বস্তরের মানুষ তাকে সংবর্ধনা দিয়েছে।

এ ব্যাপারে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. আতাউল গনি বলেন, বিশ্ব ইসলামিক পরিমন্ডলে হাফেজ তাকরিম আমাদের টাঙ্গাইল জেলা তথা সারা বাংলাদেশের নাম উজ্জল করেছে। সে আমাদের গর্ব।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. আতাউল গনি ছাড়াও বক্তব্য রাখেন, টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ দুলাল, সহকারি কমিশনার (ভূমি) ইকবাল হোসেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির, জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আলী, তাকরীমের বাবা আবদুর রহমান প্রমুখ।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তাকরীমের সম্মানে জেলা প্রশাসক ১ লাখ পুলিশ, সুপার ১ লাখ ও উপজেলা প্রশাসানের পক্ষে ইউএনও ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার প্রদান করেন। এছাড়া ইসলামিক ফাউন্ডেশন টাঙ্গাইলের পক্ষ থেকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

এসময় বিভিন্ন মাদরাসার শিক্ষক শিক্ষার্থী, সুশীল সমাজ ও সরকারি কর্মকর্তাসহ সর্বস্তরের মানুষ উপস্থিত ছিলেন।