ইউক্রেন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ গোপনীয় ও অতি গোপনীয় গোয়েন্দা নথি ফাঁস হওয়ায় বিপাকে রয়েছে দেশটি। প্রতিপক্ষের পাশাপাশি মিত্রদের সাথেও গোয়েন্দা নজরদারির ঘটনা প্রকাশ হওয়ায় টানপোড়েন ও অবিশ্বাসের দোলাচলে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সেজন্য এখন তাদের একটাই প্রশ্ন, এমন গোপনীয় নথি কারা ফাঁস করতে পারে?
এ প্রশ্নের জবাব পেতে মার্কিন বিচার বিভাগ ইতিমধ্যে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। কিন্তু অনেক জল্পনা-কল্পনার মধ্যেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফাঁসের বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
নথিতে থাকা তথ্যের শ্রেণীবিভাগ এবং ভৌগলিক বিস্তৃতির কারণে কেউ কেউ অনুমান করতে পেরেছে যে ফাঁসকারী যুক্তরাষ্ট্রের কেউই হবেন। যদিও দুই মার্কিন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, আসল পরিচয় লুকানোর জন্য নথিগুলোতে কিছুটা পরিবর্তন করা হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ।
একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তদন্তকারীরা বেশ কিছু বিষয়ে লক্ষ্য রাখছেন। একজন অসন্তুষ্ট কর্মচারী থেকে শুরু করে অভ্যন্তরীণ হুমকি এবং যারা মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থকে দুর্বল করতে চেয়েছিল।
ফাঁস হওয়া নথিগুলো কীভাবে তার হাতে এসেছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন তথ্য ফাঁসকারীর পরিচয় উন্মোচন করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছেন, আমরা তদন্ত চালিয়ে যাব যতক্ষণ না এর উৎস এবং পরিমাণ সম্পর্কে জানতে পারছি।
টেক্সাসের রাইস ইউনিভার্সিটির একটি বক্তৃতায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক উইলিয়াম বার্নস বলেছিন, ফাঁসের উৎস সম্পর্কে চলমান তদন্ত তীব্র গতিতে এগোচ্ছে।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: ইমরান খান
কার্যালয়: গ-১৩৩/৩, প্রগতি স্মরণী, মধ্য বাড্ডা, ঢাকা-১২১২। মোবাইল: ০১৮৫৩-৫৪৬২৫৪
প্রিয়দেশ নিউজ কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত