নির্বাচনের সময় নিয়ে বিএনপি কী ভাবছে?

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃতাধীন অন্তর্বরতী সরকারকে এখনই সময়সীমা বেঁধে না দেওয়ার পক্ষে বিএনপি। সরকারকে উপযুক্ত সময় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। তবে, নীতিনির্ধারকদের মতে, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে রাষ্ট্রসংস্কার করে সরকারের উচিত দ্রুত নির্বাচন দেওয়া।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির গতকাল সোমবারের (১৯ আগস্ট) বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের বিষয়ে দলটি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, এই প্রথম বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সরকার গঠন ও তাদের কার্যক্রম নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। বৈঠকের শুরুতে কমিটির নতুন দুই সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ ও ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনকে অভিনন্দন জানানো হয়। পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পুনর্তদন্ত চেয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিটির দাবি তোলার সিদ্ধান্ত হয়। এ ছাড়া বৈঠকে আগামী ১ সেপ্টেম্বর দলের প্রতিষ্ঠাবর্ষিকী জাকজমকভাবে পালনের সিদ্ধান্ত হয়।

বিএনপির স্থায়ী কমিটি মনে করছে, ধ্বংস করে ফেলা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ বিভাগগুলোতে সংস্কার প্রয়োজন। এজন্য যৌক্তিক সময় পর্যন্ত সব ধরনের সহযোগিতা সরকারকে করবেন তারা। বৈঠকে নেতারা বলেছেন, বিএনপি রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা দিয়েছিল। সেই অনুযায়ী অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কার করছে। সরকারকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই সংস্কার করতে হবে। ব্যাপকভাবে সংস্কার রাজনৈতিক মতৈক্যের ভিত্তিতে নির্বাচিত সরকারই আগামী দিনে এগিয়ে নেবে।

বৈঠক সূত্র জানায়, সরকার গঠনের আগে সরকারকে তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার দাবি করলেও এখন সেই অবস্থান থেকে সরে এসেছে দলটি। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, সরকারকে সময় দেবে দলটি। তবে, সেই সময়টা কতদিন তা ঠিক হয়নি। পরিস্থিতি অনুযায়ী সময় ঠিক করা হবে। বিএনপি এই মুহূর্তে সরকারকে দ্রুত সময়ে নির্বাচনের দাবি জানবে। সরকারকে সমর্থন ও সহযোগিতার আস্বাস থাকবে তাদের বক্তব্যে।

আজ মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে এই অন্তর্বর্তী সরকার এসেছে। তাদের প্রধান কাজ হচ্ছে, এই অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন করে জনগণের প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়া। তবে, যে জঞ্জাল আওয়ামী লীগ সরকার রেখে গেছে, সেটাকে দূর করতে অবশ্যই কিছু সময় দরকার। একটি সঠিক সুন্দর নির্বাচন করতেও একটা সময়ের দরকার। সেই সময় অবশ্যই এ দেশের মানুষ অন্তর্বর্তী সরকারকে দেবে।’