বরিশাল ও খুলনা সিটিতে ভোটগ্রহণ চলছে

বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। ভোট উপলক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ও স্থানীয় প্রশাসন। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গাজীপুরের পরে স্থানীয় এই নির্বাচনগুলোকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে ইসি।

১২ জুন (সোমবার) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলবে। ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে মাঠে মোতায়েন করা হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের। কেন্দ্র পাহারায় মোতায়েন করা হয়েছে ১৬ থেকে ১৭ জনের ফোর্স। এছাড়াও মাঠে রয়েছেন নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট। এছাড়া ইসির নিজস্ব পর্যবেক্ষক টিম ঢাকায় নির্বাচন ভবনে মনিটরিং সেল থেকে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে স্থাপিত সিসি ক্যামেরায় ভোটগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করবেন, সেখানে থাকবেন নির্বাচন কমিশনাররাও।

ইসি সূত্রে জানা গেছে, খুলনা সিটিতে মেয়র পদে ৫ জন, কাউন্সিলর পদে ১৩৬ জন এবং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর পদে ৩৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আওয়ামী লীগের তালুকদার আব্দুল খালেক নৌকা প্রতীকে, জাতীয় পার্টির (জাপা) শফিকুল ইসলাম মধু লাঙল প্রতীকে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আব্দুল আউয়াল হাতপাখা প্রতীকে ও জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন গোলাপ ফুল প্রতীক এবং এস এম শফিকুর রহমান টেবিল ঘড়ি প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

খুলনা সিটিতে মোট ভোটার ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ জন এবং মহিলা ভোটার ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ জন। ভোটগ্রহণ করা হবে ২৮৯টি কেন্দ্রের এক হাজার ৭৩২টি বুথে।

বরিশাল সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে ৭ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদপ্রার্থী ১১৬ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদপ্রার্থী ৪২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম, জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস, জাকের পার্টির গোলাপ ফুল প্রতীকের প্রার্থী মিজানুর রহমান বাচ্চু, টেবিল ঘড়ি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান রুপন, হাতি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আসাদুজ্জামান ও হরিণ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আলী হোসেন হাওলাদার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

বরিশাল সিটিতে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন দুই লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন ভোটার। মোট ১২৬টি কেন্দ্রের ৮৯৪টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ করা হবে।