যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের পরিণতি: ফখরুল

14

সরকারের দুঃশাসনের কারণেই বাংলাদেশের ওপরে ‘গণতান্ত্রিক বিশ্ব নানা চাপ’ দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘শুধুমাত্র ক্ষমতার জন্যে তারা (সরকার) বাংলাদেশের রাষ্ট্রের মানুষে যে আকাঙ্খা ছিলো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, গণতান্ত্রিক সমাজ; তার সব কিছু তারা চুরমার করে দিয়েছে। যার ফলে কি হয়েছে আমরা সব জানি। আজকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিসানীতি দেয়, নিষেধাজ্ঞা দেয়-এটা আমাদের জন্য খুব আনন্দের কথা নয়, লজ্জার কথা… যে আমরা একটা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের আজকে আমাদের ওপরে আরেকটা দেশ থেকে চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। কেনো?’

সোমবার বিকালে এক সেমিনারে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতির প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।

গুলশানে হোটেল লেকশোরে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিএনপির উদ্যোগে ‘বাংলাদেশে বহুদলীয় প্রবর্তক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান’ শীর্ষক এই সেমিনার হয়। এতে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক কামরুল আহসান।

ফখরুল বলেন, ‘কারণ এই আওয়ামী লীগ, এই আওয়ামী লীগের অবৈধ সরকার আজকে দেশকে এমন জায়গা নিয়ে গেছে তাদের ‍দুঃশাসনের কারণে, তাদের দুর্ব্যৃত্তায়নের কারণে, তাদের লুটের কারণে যে আজকে একটা এই ধরনের ব্যবস্থা ছাড়া গণতন্ত্রে ফিরে আসার আর কোনো পথ আন্তজাতিক ভাবে গণতান্ত্রিক বিশ্ব দেখতে পারছে না।’

‘জনগণকে জাগিয়ে তুলতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এখন একমাত্র একটাই পথ আবার জনগণকে জাগিয়ে ‍তুলতে হবে, যেভাবে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সাহেব জাগিয়ে তুলেছিলেন মানুষকে যুদ্ধের জন্যে, যেভাবে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে অনুপ্রাণিত করেছিলেন, যেভাবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গ্রামেগঞ্জে চারণ কবির মতো গান গেয়ে মানুষকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে নামিয়েছিলেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আজকে সেই একইভাবে আমাদের নেতা তারেক রহমান সাহেব বিদেশ থেকে যিনি ১০ দফা দিয়েছেন, ২৭ দফা দিয়েছেন রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য সেই দাবিগুলোকে সঙ্গে নিয়ে, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সমস্ত রাজনৈতিক শক্তিগুলোকে সংগঠিত করে, রাজনৈতিক দলগুলোকে সংগঠিত করে গণতন্ত্রকে এখানে আবার প্রতিষ্ঠা করার জন্য, তাকে এখানে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দেওয়ার জন্য গণতন্ত্রমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করার জন্য আজকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করতে হবে, সংগ্রাম করতে হবে এবং ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমাদেরকে একটা সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে… এই শাহাদাত বার্ষিকীকে এই হোক শপথ।’

দলের চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সেমিনার কমিটির আহ্বায়ক ইসমাইল জবিউল্লাহর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় এই সেমিনারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী, অধ্যাপক তাজমেরী এস এ ইসলাম, অধ্যাপক নুরুল আমিন ব্যাপারী, অধ্যাপক লুতফর রহমান বক্তব্য রাখেন।