বাউফল প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর বাউফল সদর ইউনিয়নের যৌতা গ্রামে একটি রাস্তায় বিগত ৪০বছরে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। সরু মাটির রাস্তা দিয়ে ভোগান্তির শিকার হয়ে চলাচল করত একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও কয়েক হাজার সাধারণ মানুষ। সম্প্রতি স্থানীয় এমপির বিশেষ বরাদ্দ কাবিখা প্রকল্পের আওতায় রাস্তা নির্মাণ করা হয়। আনছার বিশ্বাস বাড়ি থেকে ইসমাইল ফকিরের বাড়ি পর্যন্ত ১কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ১২ ফুট চওড়া মাটির রাস্তা নির্মাণে বরাদ্দ দেওয়া হয় ১৪ মেট্রিকটন চাল। শিডিউল অনুযায়ী রাস্তা নির্মাণ করেন প্রকল্পের সভাপতি ও বাউফল সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান লিটন মোল্লা। প্রকল্পের শিডিউল অনুযায়ী কাজ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে পুরানো রাস্তার মাঝে থাকা কিছু তালগাছ খেজুর গাছ ও চারা উপড়ে ফেলা হয়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার দেড়শ তাল গাছ কেটে ফেলা হয়েছে শিরোনামে একাধিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদের সূত্র ধরে সরেজমিন তদন্ত করে উপজেলা প্রশাসন। ওই তদন্তের দেড়শ গাছ কাটার প্রমাণ মিলেনি বলে জানিয়েছে তদন্ত সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র। তবে কিছু গাছ উপড়ে ফেলার প্রমাণ মিলেছে। যার মধ্যে কয়েকটি মরা তালগাছও ছিল।
স্থানীয় সূত্র জানায়, যৌতা গ্রামের আনছার বিশ্বাস বাড়ি থেকে ইসমাইল ফকির বাড়ি পর্যন্ত রাস্তাটি খুব গুরত্বপূর্ণ। এই রাস্তায় দিয়ে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি দাখিল মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রী ও কয়েক হাজার সাধারন মানুষ চলাচল করেন। এছাড়া বাউফল সদর ইউনিয়নের একাংশের সাথে বগা ইউনিয়নের সহজ পথও এটা। দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে রাস্তার উন্নয়ন কাজ না হওয়ায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছিলেন কয়েক হাজার মানুষ। সম্প্রতি স্থানীয় এমপি ও সাবেক চীফ হুইপ আ.স.ম ফিরোজের বিশেষ বরাদ্দে রাস্তার নির্মাণ কাজ করেন প্রকল্প সভাপতি ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান লিটন মোল্লা। শিডিউল অনুযায়ী নির্মাণ কাজ শেষ করেন তিনি। তবে স্থানীয় রাজনৈতিক বিরোধের জেরে একটি পক্ষ উন্নয়ন কাজ বাঁধাগ্রস্থ করতে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। ষড়যন্ত্রকারীরা দেড়শ তাল-খেজুর গাছ কাটার মিথ্যা তথ্য দিয়ে বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করিয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা মা. আবদুর রব চৌকিদার বলেন, রাস্তার অভাবে দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তির শিকার হচ্ছি। যখন রাস্তা পেয়েছি তখন রাস্তা বন্ধ করতে কিছু মানুষ ষড়যন্ত্র শুরু করে দিয়েছে। মিথ্যা সংবাদ পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ করিয়েছেন। এটা দুঃখজনক।
আবুল কালাম আজাদ নামের আরেক বাসিন্দা জানান, পুরানো রাস্তা খুব সরু ছিল। রাস্তার ওপরে ব্যক্তি মালিকানা গাছ ছিল। যার মধ্যে আমারও গাছ ছিল। রাস্তার প্রস্থ বাড়ানোর জন্য আমিই আমার গাছ কাটতে বলি। শুধু আমি না, গ্রাম বাসি রাস্তার উন্নয়নের জন্য যে কয়েকটি গাছ রাস্তার ওপরে ছিল তা কাটতে বলি। এখন নতুন রাস্তা হয়েছে আবার গাছ লাগাবো। এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করার কিছু নেই।
এ বিষয়ে প্রকল্প সভাপতি মো. কামরুজ্জামান লিটন মোল্লা বলেন, রাস্তাটি অত্যন্ত সরু ছিল। পুরানো রাস্তা হওয়ায় ১০/১২ গাছ রাস্তার মাঝে ছিল। যাদের গাছ ও গ্রামবাসী রাস্তা বড় করার স্বার্থে ওই সব গাছ তুলে ফেলতে বলায় আমি গাছ গুলো তুলে ফেলি। কিন্তু কিছু সাংবাদিক ভাইয়েররা সরেজমিনে না এসে একটি পক্ষের দেওয়া ভুল তথ্য দিয়ে দেড়শ গাছ কেটে ফেলা হয়ছে দাবি করে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করেন। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। মুলত আওয়ামী লীগের উন্নয়ন বাঁধাগ্রস্থ করতে এমন ষড়যন্ত্র।