শামীম ওসমানকে হেনস্তার চেষ্টাকারীদের গ্রামের বাড়ি ভাঙচুর

25

নোয়াখালী প্রতিনিধি: যুক্তরাষ্ট্র সফররত নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমানকে নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে হেনস্তার চেষ্টা চালানো সাবেক ছাত্রদল নেতার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে বিক্ষোভ-ভাঙচুর করেছে ছাত্রলীগ।

শনিবার ১৫ জুলাই সকাল ১১টার দিকে উপজেলার জয়াগ ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের আমকি গ্রামের আমকি মিয়া বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।

শামীম ওসমানকে হেনস্তার চেষ্টাকারী অভিযুক্ত বাদল মির্জা একই গ্রামের আবু বাহারের ছেলে এবং সে সোনাইমুড়ী উপজেলা ও জয়াগ ইউনিয়ন ছাত্রদলের একজন সক্রিয় নেতা ছিলেন। বাদল ৮-১০ বছর আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় চলে যায়। সেখান থেকে সে আমেরিকা প্রবেশ করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র সফররত নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমানকে হেনস্তার চেষ্টা চালানো সাবেক ছাত্রদল নেতা বাদলের পরিবারের সদস্যরা ঘটনাটি জানার পরপরই বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যায়। সকালের দিকে সোনাইমুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের ১০-১৫ জন নেতাকর্মী শামীম ওসমানকে হেনস্তার চেষ্টার প্রতিবাদে অভিযুক্ত বাদলের বাড়িতে বিক্ষোভ করে ভাঙচুর চালায় এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। ওই সময় বাদলের পরিবারের কেউ বাড়িতে ছিল না।

সোনাইমুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাদল দেশে থাকতে উপজেলার জয়াগ ইউনিয়ন ছাত্রদলের অন্যতম নেতা ছিল। ওই সময় সে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সাথে জড়িয়ে পড়ে। পরে সরকার পরিবর্তন হলে সে জনগণের রোষানলে পড়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ওসমানকে হেনস্তার চেষ্টার প্রতিবাদে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে। পরে তার বাড়ির সামনে অবস্থান নিয়ে তার শাস্তির দাবিতে স্লোগান দেয়। ওই সময় ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী উত্তেজিত হয়ে পড়ে।

এ বিষয়ে জানতে সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক বলেন, এ বিষয়ে কেউ পুলিশকে অবহিত করেনি।

উল্লেখ্য, গত বুধবার ১২ জুলাই স্থানীয় সময় সন্ধ্যার পর বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের প্রাণকেন্দ্র জ্যাকসন হাইটসের লিটল বাংলাদেশ (৭৩ স্ট্রিট) এলাকায় যান শামীম ওসমান। তিনি একটি কালো রঙের রেঞ্জ রোভার গাড়িতে ছিলেন। তাকে দেখামাত্র রাস্তার বিপরীতে থাকা নিউইয়র্ক মহানগর বিএনপি নেতা রাব্বী, সোনাইমুড়ী উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক নেতা বাদল মির্জা সহ কয়েকজন যুবক ‘ভুয়া’ ‘ভুয়া’ স্লোগান দেয়। এরপর তারা সেখানে একটা বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। পরে যার ভিডিও চিত্র ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়।