দিনবদলের জয়গান গাইছে বাংলাদেশের ক্রিকেট। অভিজ্ঞতা আর তারুণ্যের মিশেলে বাংলাদেশ এখন আগের চেয়ে অনেক পরিণত। নতুনরা উজাড় করে দিচ্ছেন নিজেদের। লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্তরা সমালোচনাকে পেছনে ফেলে ব্যাট হাতে দলের ভরসা হয়ে উঠেছেন।
আরেক ভরসার মুখ মুশফিকুর রহিম তো আছেনই। ১৯ বছর ধরে ক্রিকেট খেলছেন বাংলার ক্রিকেটের মি. ডিপেন্ডেবল। সাক্ষী হয়েছেন অনেক উত্থান-পতনের। দেখেছেন, কিছুদিন ভালো খেলে অনেক তরুণদের ঝরে যেতে।
বিশেষ সাক্ষাৎকারে দলের নতুনদের নিয়ে মুশফিক বলেন, ‘লিটন-শান্তরা একটা পর্যায় পার করে এসেছে। এখন অভিজ্ঞ হয়েছে। তাদের এখন ডেলিভারি দেওয়ার সময়। তরুণরা আরও এক-দেড় বছর খেলুক। সব দেশের সঙ্গে খেলুক। তখন বলা যাবে। এখনও বলার সময় হয়নি।’
মুশফিক ভুল বলেননি। বাংলাদেশ দলে অনেক খেলোয়াড় এসেছেন, দেড় দুই বছর ভালো খেলে হারিয়ে গেছেন। এর কারণ হিসেবে মুশফিক মনে করেন, নিজেদের নিয়ে কাজ না করা। নাসির হোসেনের উদাহরণ টেনে এনে তিনি বলেন, ‘নাসিরও আমাদের অন্যতম প্রতিভাবান খেলোয়াড় ছিল। ওর যে সামর্থ্য, ১৫/২০ বছর খেলার মতো। প্রথম দুই তিন বছর এত ভালো খেলেছে, পরে যখন প্রতিপক্ষ ওর দুর্বলতা জেনে গেছে, সে আর পারেনি। আমি মনে করি এই জায়গায় নতুনরা যথেষ্ট স্মার্ট। ওরা কাজ করবে এসব নিয়ে।’
বাংলাদেশের ক্রিকেটে সাকিব আল হাসানের বিকল্প নেই। তবে, মেহেদি হাসান মিরাজে সাকিবের ছায়া দেখেন অনেকেই। মুশফিক নিজেও বললেন, ‘সাকিবের বিকল্প বাংলাদেশ কেন, বিশ্ব ক্রিকেটেই কম পাওয়া যাবে। এজন্যই সে বিশ্বের এক নম্বর অলরাউন্ডার। মিরাজ এখন যতটুকু আছে যথেষ্ট। যদি ওর সামর্থ্যের আর ২০ ভাগ বাড়িয়ে দিতে পারে, আমি মনে করি ক্যারিয়ার শেষে সে অন্য যে কারও চেয়ে বেশিকিছু অর্জন করতে পারবে।’
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: ইমরান খান
কার্যালয়: গ-১৩৩/৩, প্রগতি স্মরণী, মধ্য বাড্ডা, ঢাকা-১২১২। মোবাইল: ০১৮৫৩-৫৪৬২৫৪
প্রিয়দেশ নিউজ কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত