বৃষ্টিতে ভেঙে পড়ল ৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকার ব্রিজের অ্যাপ্রোচ

23

সাদের হোসেন বুলু, ঢাকা দক্ষিণ: ঢাকার দোহার উপজেলায় ৬ কোটি ৬৮ লাখ ৮৬ হাজার ৩৬ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৬০.০৫ মিটার আরসিসি ব্রিজের অ্যাপ্রোচ সড়ক ব্রিজটি কর্তৃপক্ষের উদ্বোধনের আগেই সামান্য বৃষ্টিতে ভেঙে পড়েছে।

উপজেলার মাঝিরচর বাজার, কুলচুরি, দেবীনগর, জয়পাড়া-কাজিরচর সড়কে সম্প্রতি এই ব্রিজটি নির্মিত হয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ঠিকাদারের গাফিলতি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঠিক তদারকি না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই ব্রিজের অ্যাপ্রোচ সড়ক ভেঙে গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ব্রিজটি নির্মাণ করে এম.এম. বিল্ডার্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ার লিমিটেড। ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের অর্থায়নে দোহার উপজেলা স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়নে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের ব্রিজটির ট্রেন্ডার পায় এম.এম. বিল্ডার্স। ওয়ার্ক অর্ডার অনুযায়ী ব্রিজের কাজ শেষ করার সয়ম ১২ জুলাই ২০২৩ ইং। ব্রিজের কাজ শুরুতে ধীরগতি ছিল। যথা সময়ের মধ্যে কাজটি শেষ করার জন্য শেষের দিকে এসে তড়িঘড়ি করে কাজটি সম্পন্ন করে এম.এম বিল্ডার্স নামের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।

ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এম.এম. বিল্ডার্স সূত্র জানায়, ব্রিজটি নির্মাণে কোন অনিয়ম হলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ অবশ্যই দেখবেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ৬০.০৫ ফুট দীর্ঘ আরসিসি ব্রিজের দুই পাশের অ্যাপ্রোচ সড়ক বৃষ্টিতে ভেঙে গেছে। এছাড়া ব্রিজের গোড়ায় সড়ক অনেক অংশে গর্ত হয়ে গেছে। ব্রিজের পশ্চিম দিকের বাম পাশের অ্যাপ্রোচের আংশিক মাটি বৃষ্টিতে সরে গেছে। ফলে চলমান বর্ষা মৌসুমে ব্রিজটি ও ব্রিজ সংলগ্ন সড়ক অনেকটা ঝুঁকিতে পড়বে বলে স্থানীয়রা ধারণা করছেন।

স্থানীয় কৃষক মো: করিম মিয়া বলেন, সড়কপথে যোগাযোগের জন্য ব্রিজটি অনেকটাই কাজে লাগবে আমাদের। তিনি ব্রিজের অ্যাপ্রোচ সড়কসহ ব্রিজটি সঠিকভাবে নির্মাণ করা হয়েছে কিনা এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।

অপরদিকে দোহার উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের একাধিক নেতা বলেন, এভাবে সরকারি কাজ করা হলে সরকারে ভাবমূর্তি অবশ্যই ক্ষুন্ন হবে। তারা এ বিষয়ে সজাগ থাকতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান। তারা ব্রিজটির ব্রিজের গাইড ওয়ালসহ নির্মাণ কাজ সঠিকভাবে করা হয়েছে কিনা এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের তদারকির দাবি জানায়।

দোহার উপজেলা স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী হানিফ মোহাম্মদ মুর্শেদী বলেন, আমাদেরকে এখনো ব্রিজটি বুঝিয়ে দেয়নি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। ওয়ার্ক অর্ডার অনুযায়ী ব্রিজের কাজ শেষ করার সয়ম ১২ জুলাই ২০২৩। সঠিকভাবে ব্রিজ নির্মাণের কাজ সমাপ্ত করা না হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ঠিকাদারের বিল দিবে কেন। ব্রিজটির নির্মাণ কাজ সঠিকভাবে হয়েছে কিনা তা অবশ্যই সরেজমিনে দেখা হবে।