নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলী থানাধীন অলংকারস্থ ৯৩ শপিং কমপ্লেক্স ৩তলায় সীতাকুণ্ড অটোটেম্পু শ্রমিক ইউনিয়ন ১২৯২/৮৭ সংগঠনের নির্বাচনে সহ-সভাপতি প্রার্থী শাহ জালাল বিতর্কিত এবং মাদক ব্যবসায়ী বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি এই সংগঠনের কেউ না, তাকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শাহজালালের ব্যাপারে আরেক সহ-সভাপতি প্রার্থী আজাদ হোসেন ইমন মুঠোফোনে জানান, শাহ জালাল একজন মাদক ব্যবসায়ী। তিনি কিভাবে ১২৯২/৮৭ সংগঠনের সহ-সভাপতি প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে পারেন? এটা তিনি পারেন না। তিনি এই সংগঠনের কেউ না। নির্বাচনে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে শাহ জালাল অংশগ্রহণ করছে। নির্বাচন কমিশনার যাচাই-বাছাই না করে মনোনয়নপত্র দিয়েছে। আমি শাহ জালালের ব্যাপারে মৌখিকভাবে কয়েকবার অভিযোগ দিয়েছি। নির্বাচন কমিশনার এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেননি। বারবার নির্বাচন কমিশনারকে অবগত করার পরেও শাহ জালালের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করে নাই। ৫ অক্টোবর বিকেলে নির্বাচন কমিশনারকে আমি লিখিতভাবে একটা অভিযোগ দায়ের করব।
নির্বাচন কমিশনার মুরাদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, শাহ জালাল এর ব্যাপারে কেউ কোনো অভিযোগ দায়ের করেনি। শাহ জালালের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ প্রমাণিত হলে সেক্ষেত্রে আমরা শাহ জালালের মনোনায়নপত্র বাতিল ঘোষণা করব। একটি সংগঠন চালাতে গেলে টুকটাক অনেকেই অনেক অনিয়ম থাকতে পারে, এই মুহূর্তে সবদিকই নজর দেওয়াটা ঠিক না আমাদের।
এ বিষয়ে শাহ জালালের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমি একটু ব্যস্ত আছি। আপনাকে এক থেকে দেড় ঘণ্টা পরে আমি ফ্রি হয়ে কল করব। আপনারা কোথায় আছেন আমি নিজে এসে আপনাদের সাথে দেখা করব।
নির্বাচনের বিষয়ে চট্টগ্রাম শ্রম অধিদপ্তরের সরকারি পরিচালক সাব্বির আহমেদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, নির্বাচনের বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান, কোর্ট থেকে যে নির্দেশনা দেবে ওই নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব,বলে জানান তিনি।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: ইমরান খান
কার্যালয়: গ-১৩৩/৩, প্রগতি স্মরণী, মধ্য বাড্ডা, ঢাকা-১২১২। মোবাইল: ০১৮৫৩-৫৪৬২৫৪
প্রিয়দেশ নিউজ কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত