চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলী থানাধীন অলংকারস্থ ৯৩ শপিং কমপ্লেক্স ৩তলায় সীতাকুণ্ড অটোটেম্পু শ্রমিক ইউনিয়ন ১২৯২ সংগঠনের নির্বাচন নিয়ে আদালতে মামলা চলমান থাকায় নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন স্থগিত রাখার আদেশ থাকলেও একটি মহল নির্বাচন করার পায়তারা করছে। মনোনয়ন বাণিজ্য জায়েজ করাসহ নিজেদের ব্যক্তিগত সুবিধার্থে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা এই পায়তারা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী সীতাকুণ্ড অটোটেম্পু শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন বন্ধ রাখতে সংগঠনের সদস্য মো. শাহজাহান চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের পরিচালক ও রেজিস্ট্রার অব ট্রেড ইউনিয়ন্স বরাবর আবেদন জমা দিয়েছেন।
মো. শাহজাহান বলেন, কোর্ট এই নির্বাচনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। নোটিশ পেয়ে তারা হাজির হয়েছে। মামলার শুনানিতে তারা আমি সদস্য নই বলে দাবি করে। কিন্তু আমার কাছে কাগজপত্র আছে। আদালত একবার নির্বাচনের কথা বললেও আমি সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করব জানিয়ে লেবার কোর্ট এবং নির্বাচন কমিশনকে লিগ্যাল নোটিশ দেই। তারা লিগ্যাল নোটিশ বুঝে পেয়েছে সেটা স্বীকারও করেছে। পরে আমি মামলা করলে রায় আসে, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ মামলার ডেট। পরে নথিপত্র তলবি দিয়ে কোর্ট আগের রায় বহাল রাখে। নির্বাচন করার রায়ও প্রত্যাহার হয়েছে। অর্থাৎ মামলা চলাকালে আর নির্বাচন করা যাবে না বলে রায় ঘোষণা করে।
তিনি বলেন, কোর্টের এমন রায়ের পরও সাজানো নির্বাচন কমিশনার টাকা খেয়ে এখন তারা নির্বাচনটা দেওয়ার চেষ্টা করতেছে। এত কাগজ দেওয়ার পরও যারা আইন মানে না, মানতে চায় না; তারা নিষেধাজ্ঞা স্বত্ত্বেও নির্বাচন দিলে আইনের কাছে জবাব দিতে হবে।
এর আগেও টাকা খেয়ে মাদক ব্যবসায়ী সহ বিভিন্ন জনকে নির্বাচন কমিশনার যাচাই-বাছাই না করে মনোনয়নপত্র দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। নির্বাচনে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে এদেরকে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনার যাচাই-বাছাই না করে মনোনয়নপত্র দিয়েছেন। অভিযুক্তদের ব্যাপারে মৌখিকভাবে কয়েকবার অভিযোগ জমা পড়লেও নির্বাচন কমিশনার এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেননি। বারবার নির্বাচন কমিশনারকে অবগত করার পরেও এদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করে নাই।
নির্বাচন কমিশনার মুরাদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি প্রিয়দেশ নিউজ কে বলেন, নির্বাচন স্থগিত করার বিষয়ে দু’জন কোর্টে আবেদন করেছে। দু’জনের আবেদনই খারিজ করা হয়েছে। এজন্য আমরা নির্বাচন করছি। আমরা কোর্ট থেকে একটা নোটিশ পেয়েছি আগামী ফেব্রুয়ারিতে শুনানির জন্য। কোর্ট থেকে শুনানির জন্য নোটিশ পেলে মামলা চলমান অবস্থায় নির্বাচন করা যায় কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মামলা হয়নি। নোটিশ দিয়েছে।
নির্বাচনের বিষয়ে চট্টগ্রাম শ্রম অধিদপ্তরের সরকারি পরিচালক সাব্বির আহমেদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, নির্বাচন স্থগিত করার একটি নোটিশ আমাদের কাছেও এসেছে। আমি গতকাল পর্যন্ত যত কাগজপত্র দেখেছি তাতে নির্বাচন করতে বাধা নেই। তবে যেহেতু কোর্টে মামলা চলমান আছে, নির্বাচনটা না করলেই ভালো হতো। কিন্তু তারা তো না করে থাকবে না। নির্বাচন স্থগিতে আদালতের কোনো আদেশ থেকে থাকলে আমরা অবশ্যই নির্বাচন স্থগিতের ব্যবস্থা গ্রহণ করব।