লালমোহনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ‌‌‌আকতারের মিছিল থেকে পুলিশের ওপর হামলা

ভোলার লালমোহনে মিছিল থেকে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এমন একটি ভিডিও এসেছে সংবাদকর্মীদের কাছে। বুধবার রাতে পৌনে ৮টার দিকে লালমোহন পৌর শহরের হাইস্কুল সুপার মার্কেটে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে পৌর শহরে মিছিল বের করে চেয়ারম্যান প্রার্থী আক্তারুজ্জামান টিটবের দোয়াত কলম প্রতীকের সমর্থকরা। ওই মিছিলের পেছন পেছন মিছিল শুরু করে প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী আকতার হোসেনের শালিক প্রতীকের সমর্থকরা।

এমন পরিস্থিতিতে মিছিলের ভিডিও ধারণ করছিলেন ডিএসবি’র এসআই একেএম আবদুল হক। সেসময় এসআই আবদুল হকের ওপর হামলা চালায় শালিক প্রতীকের সমর্থকরা।

এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এজাহার নামীয় ১১ জনসহ আরও ১৫/২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। তারা হলেন- মো. সোহান, মো. জিহাদ, মো. রাসেল, মো. নাহিদুল ইসলাম পাপ্পু, মো. ইয়ামিন, মো. আরিফ, মো. নিহাত, মো. শিপন, মো. মেহেদী মুন্সি, মো. তামিম ও মো. ছায়েম। তারা সবাই পৌরসভার বাসিন্দা। এদের মধ্যে জিহাদ ও ইয়ামিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মামলা সূত্রে জানা যায়, লালমোহন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে বুধবার রাতে পৌর শহরে মিছিল বের করে চেয়ারম্যান প্রার্থী আক্তারুজ্জামান টিটবের দোয়াত কলম প্রতীকের সমর্থকরা। এসময় ওই মিছিলের পিছু পিছু মিছিল বের করে প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী আকতার হোসেনের শালিক প্রতীকের সমর্থকরা। দুটি মিছিলের স্থিরচিত্র ধারণ করছিলেন ডিএসবি’র এসআই কেএম আবদুল হক। এসময় হঠাৎই শালিক প্রতীকের মিছিল থেকে কয়েকজন সমর্থক এসআই আবদুল হকের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।

পুলিশের ওপর হামলার সংবাদ শুনে ঘটনাস্থলে আসেন লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম মাহবুব উল আলম। এসময় হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করেননি ওসি। তবে মামলার পর তিনি জানান, মামলার ২নং আসামি মো. জিহাদ ও ৫নং আসামি মো. ইয়ামিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

শালিক প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আকতার হোসেনের মুঠোফোনে কল দিলে তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।