প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পিরোজপুর জেলার পিরোজপুর সদর, নাজিরপুর ও ইন্দুরকানী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৫ জন প্রার্থী ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। সোমবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত মনোনায়নপত্র দাখিলের শেষ সময় পর্যন্ত প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দেন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার মো: মিজানুর রহমান এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে পিরোজপুর উপজেলায় ২ জন প্রার্থী, মোঃ বায়জিদ হোসেন ও মো: শফিউল হক মিঠু মনোয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন প্রার্থী এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন।
ইন্দুরকানী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা হলেন- মো: জিয়াউল আহসান গাজী, এম. মতিউর রহমান, মোহাম্মদ ফায়জুল কবির এবং শেখ আবুল কালাম আজাদ। ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থী এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন।
নাজিরপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা হলেন- এস এম নুরে আলম সিদ্দিকী, ডা: দীপঙ্কর নাগ, দীপ্তিষ চন্দ্র হালদার এবং মোহাম্মদ আলী সিকদার। ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থী এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন।
মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে জমা দেন পিরোজপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং পিরোজপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমীর বর্তমান সাধারণ সম্পাদক, জনবান্ধব ও ত্যাগী নেতা জনাব জিয়াউর আহসান গাজী। তার মনোনয়ন দাখিলকে ঘিরে নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন স্তরের হাজারো মানুষ তাকে সমর্থন জানাতে ইঁদুরকানি উপজেলা প্রাঙ্গনে ভিড় করে। এসময় তিনি মনোনয়নপত্র দাখিলের পাশাপাশি তার নির্বাচনী অঙ্গীকারগুলো বলেন এবং ইঁদুরকানির সর্বস্তরের মানুষের কাছে দোয়া চেয়ে জনসংযোগ করেন।
তিনি বলেন, আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে আমি দলমত নির্বিশেষে সকল মানুষের ম্যান্ডেট নিয়েই অংশগ্রহণ করছি। তাদের প্রত্যাশা পূরণের জন্যই আমি নিজেকে অঙ্গীকারবদ্ধ করেছি। তাদের একটাই দাবি তারা পরিবর্তন চায়। ইন্দুরকানী উপজেলা হবে একটি দুর্নীতি মুক্ত স্মার্ট উপজেলা গঠনের মাধ্যমে একটি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া ও জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশনকে বাস্তবায়ন করতে সব দলের সব শ্রেণীর মানুষকে নিয়ে নিরলস কাজ করে যাব। এটা হলো আমার অঙ্গীকার। এছাড়াও আমার অঙ্গীকার হলো মাদকমুক্ত উপজেলা বিনির্মাণ করা, ইভটিজিং প্রতিরোধে কাজ করা, শিক্ষার প্রসারে কাজ করা, বেকারত্ব দূর করা এবং এই সরকারের আমলে যে উন্নয়ন হচ্ছে সেটা আমার উপজেলার মানুষের জন্য নিশ্চিত করা। আমি বিশ্বাস করি, দলমত নির্বিশেষে মানুষ যেভাবে আমাকে সমর্থন দিচ্ছে, তাতে আমি যদি উপজেলা চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত হই, তাহলে একটি উন্নত ও স্মার্ট উপজেলা হিসেবে ইঁদুরকানিকে রূপান্তর করতে সক্ষম হব।
উল্লেখ্য, প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৭ এপ্রিল রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাছাই করা হয়। প্রার্থীদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২২ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল এবং নির্বাচন ৮ মে অনুষ্ঠিত হবে।