

রিয়াজুর রহমান রিয়াজ:
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা না হলেও, ভোটের মাঠে চলছে প্রচার-প্রচারণা। নির্বাচনকে ঘিরে ইতোমধ্যে প্রার্থী বাছাইয়ে জনমত জরিপের কাজও শুরু করেছে বিএনপি। তবে এবার নির্বাচনে শতাধিক আসনে অপেক্ষাকৃত তরুণ ও নতুন নেতাদের মনোনয়ন নিয়ে বিএনপির ভেতরে-বাইরে আলোচনা চলছে। সম্ভাব্য এসব তরুণ প্রার্থীর অনেকে এলাকায় মানুষের নজর কেড়েছেন। জানা গেছে, কেন্দ্র সিদ্ধান্ত দিলে নতুন মুখ হিসেবে এই তরুণদের অনেকেই আগামী নির্বাচনে জায়গা করে নিতে পারেন।
দশমিনা-গলাচিপা এই দুই উপজেলা নিয়ে গঠিত পটুয়াখালী-৩ আসন। এ আসনে ধানের শীষের মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে ইতিমধ্যেই ভোটারদের হৃদয়ে ও মাঠের তৃণমূল সংগঠনের নেতাকর্মীদের আস্থার প্রতীক হিসেবে রয়েছেন সাবেক ছাত্রনেতা ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন। অন্যদিকে এই আসনে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর নির্বাচন করার ঘোষণা দিলেও শেষ পর্যন্ত তিনি এই আসনে নির্বাচন করবে কিনা- আপাতত তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
জিয়া পরিবারের আস্থাভাজন কর্মীবান্ধব নেতা হাসান মামুন শুধু দলের দায়িত্বশীল নেতাই নন, তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিশ্বস্ত হিসেবেও পরিচিত। রাজনীতির মাঠে তার উত্থান ছাত্রদল থেকে শুরু। তিনি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সফল সভাপতি। তরুণ বয়সেই সংগঠনচর্চা, নেতৃত্বগুণ, এবং কৌশলী সাংগঠনিক দক্ষতার মাধ্যমে দলে নিজের অবস্থান দৃঢ় করেছেন।
দশমিনা- গলাচিপায় বিএনপির প্রতিটি ইউনিটে তৃণমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে রয়েছে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। এককথায় বলা যায়, হাসান মামুনের নেতৃত্বে এই দুই উপজেলায় রয়েছে বিএনপির সুশৃঙ্খল শক্ত অবস্থান। কর্মীবান্ধব আচরণ, সহজ যোগাযোগব্যবস্থা এবং বিনয়ী নেতৃত্বের ফলে পটুয়াখালী -৩ আসনে তিনি এখন জনপ্রিয়তার শীর্ষে। তার মেধা ও শুদ্ধ রাজনৈতিক চর্চা তাকে এই অঞ্চলের জনগণ ও বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের কাছে একজন ভরসার প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তাছাড়া তিনি রাজনীতির পাশাপাশি নানা সামাজিক ও মানবিক কার্যক্রমেও সক্রিয় ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন। এসব কারণেই তিনি ভোটারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করেছেন।
তিনি তরুণদের স্বপ্ন দেখান, প্রবীণদের কাছ থেকে নীতিনৈতিকতার শিক্ষা নেন এবং প্রতিটি কর্মসূচিতে কর্মীদের সম্মান দিয়ে পাশে রাখেন। এবং সবার সাথে সহজভাবে কথা বলেন, সবসময় সবাইকে বোঝার চেষ্টা করেন। এ কারণে ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণ পর্যন্ত সবার কাছে তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয়।
তাছাড়া, ২০২৪ সালের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে সরব ও সম্মুখসারির নেতাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন হাসান মামুন। বিএনপির কেন্দ্রীয় এই নেতা, স্বৈরাচারী হাসিনা পতন আন্দোলনে ঢাকার রাজপথে সক্রিয় ভূমিকার পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নজরদারির মধ্যেও তিনি তার এলাকাভিত্তিক কর্মসূচি চালিয়ে গেছেন, এবং এলাকার নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন অভিভাবকের মতো। আন্দোলনের মাধ্যমে তৃণমূলকে সংগঠিত করেছেন এবং নেতাকর্মীদের মনোবল চাঙ্গা রেখেছেন। তার সাহসিকতা, নেতৃত্বদক্ষতা এবং সাংগঠনিক নৈপুণ্য তাকে পটুয়াখালী-৩ এর বিএনপির অন্যতম সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, দলের নেতাকর্মীদের আপদে-বিপদে, মামলা-হামলার সময় হাসান মামুন পাশে দাঁড়ান। বিএনপি থেকে হাসান মামুন দলীয় মনোনয়ন পেলে জনগণ ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন। এটি হবে পটুয়াখালী-৩ আসনে সর্বোচ্চ রেকর্ড।
হাসান মামুন বলেন, মানুষ আমাকে আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে চায়। দল আমাকে মনোনয়ন দিলে এই আসনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে আমি জয়ী হবো ইনশাআল্লাহ। দশমিনা-গলাচিপার মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নে অবদান রাখাবো। জনতার রায়ে আসন্ন নির্বাচনে বিএনপির ধানের শীষ জয়ী হবে বলেও মনে করেন তিনি।’
তিনি বলেন, আমি নানাভাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বার্তা জনগণকে পৌঁছে দিচ্ছি। জনগণ তা গ্রহণ করছে, প্রশংসাও করছে।
দল যে সিদ্ধান্ত দিবে তা মেনে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে হাসান মামুন বলেন, ফ্যাসিবাদ পরবর্তী বাংলাদেশে আমাদের একমাত্র লক্ষ্য খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের নেতৃত্বে সুন্দর বাংলাদেশ পুনর্গঠন। এ লক্ষ্য অর্জনে আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং দেশনায়ক তারেক রহমান যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন, সেটিই আমি মেনে নেব। সেজন্যই পটুয়াখালী-৩ আসনের বিএনপিকে শক্তিশালী করার জন্য আমি আমার জায়গা থেকে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছি।