সাদের হোসেন বুলু: হঠাৎ পদ্মায় পানি বৃদ্ধি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে ঢাকার দোহার উপজেলার মৈনটঘাট থেকে বাহ্রাঘাট পর্যন্ত ব্যাপক এলাকায় ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ফলে নদীর তীরবর্তী স্থানীয় জনসাধারণ চরম আতংকে রাত দিন পার করছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, মৈনটঘাট খ্যাত মিনি কক্সবাজার, চরকুসুমহাটি, পুরুলিয়া, দেওভোগসহ আশে পাশের বিস্তীর্ণ এলাকায় ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। বিশেষ করে মৈনটঘাট লঞ্চ টার্মিনাল এলাকাসহ বেশ কিছু স্থান গত দুই দিনে পদ্মার ভয়াল গ্রাসে নদীতে ভেঙ্গ গেছে। ফলে জনমনে আতংক বিরাজ করছে। স্থানীয়দের দাবি নদীর পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ভাঙন শুরু হয়েছে। তারা বলেন প্রতিবছরই অল্পস্বল্প নদী ভাঙে। কিন্তু এবার নদীতে স্রোত বেশি মনে হচ্ছে। ফলে ভাঙন বেশি হচ্ছে। দ্রত ব্যবস্থা না নিলে এই ভাঙন তাদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়াবে।
এ বিষয়ে স্থানীয় আক্তার হোসেন বলেন, হঠাৎ পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধিও কারনে ভাঙ্গন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে দোহার পদ্মা নদী সংলগ্ন একাধিক এলাকা ভাঙ্গনের কবলের পড়েছে। ফসলি জমিসহ স্থানীয় নদী তীরবর্তী বসত বাড়ি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি মনে করেন। এখনই ভাঙ্গন প্রতিরোধ না করা গেলে অসংখ্য মানুষ তাদের কৃষিজমিসহ বসত বাড়ি হারাবে ।
মৈনটঘাট এলাকার একাধীক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বলেন, মিনি কক্সবাজার এলাকায় কোনমতে ব্যবসা করে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবন যাপন করেন। চলমান মৌসুমে ভাঙ্গন বৃদ্ধি পেলে তাদের বেচাকেনা বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে অনাহারে থাকতে হবে। পদ্মার তীরবর্তী মধ্যে মৈনটঘাট খ্যাত মিনি কক্সবাজার এলাকায় চলামন মৌসুমে ভাঙ্গনের কারণে অনেক ঝুকির ব্যবসা করছেন বলেও জানান।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঢাকা জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নির্বাহী প্রকৌশলী এম.এল সৈকত বলেন, আমরা ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি। দোহারে সেনাবাহিনী ভাঙ্গন প্রতিরোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: ইমরান খান
কার্যালয়: গ-১৩৩/৩, প্রগতি স্মরণী, মধ্য বাড্ডা, ঢাকা-১২১২। মোবাইল: ০১৮৫৩-৫৪৬২৫৪
প্রিয়দেশ নিউজ কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত