তফসিল ঘোষণার পরে আগের মামলায় গ্রেপ্তার করা যাবে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। তিনি বলেন, ‘আমরা পুলিশের দায়িত্ব পালন করি না। বলতে পারব না মাঠে কী হয়েছে। আমরা যেটা দেখব, সেটা হলো—ওই সময় যেন রাজনৈতিক কোনো মামলা না হয়। যদি দেখি আগে গ্রেপ্তার করা হয়নি, তফসিল ঘোষণার পর করা হচ্ছে; সেটা আমরা বলব, ফলাফলের পর করতে। তফসিল ঘোষণার পরে আগের মামলায় গ্রেপ্তার করা যাবে না। যদি গ্রেপ্তার করতেই হয়, তফসিল ঘোষণার আগে করবেন বলে জানিয়েছেন মাননীয় প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তবে, পরে যদি কেউ খুন করে ফেলে, কোন আইনে তাদের আটকাবেন?’
আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে আজ রোববার (১৫ আক্টোবর) নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধনে থাকা ৪৪টি রাজনৈতিক দলই নির্বাচনের পক্ষে। ক্ষণগণনা করে আমরা যাবতীয় কার্যক্রম শেষ করছি। এখন শুধুমাত্র তফসিল ঘোষণা আর নির্বাচন অনুষ্ঠান করা বাদ আছে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, ‘সাধারণত ৪২ থেকে ৪৫ দিন সময় ধরে তফসিল ঘোষণা করতে হয়। অন্তত ৪৫ দিন সময় ধরে নভেম্বরে তফসিল ঘোষণা করা হবে। ঠিক কোন সপ্তাহে, তা নিয়ে এখনো আলোচনা হয়নি।’
ভোটের পরিবেশ আছে কি না, প্রশ্নে মো. আলমগীর বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী তো দেখি সব ঠিকই আছে। সংবিধানে ইসিকে দায়িত্ব দেওয়া আছে, চলমান সংসদের মেয়াদপূর্তির পূর্বের নব্বই দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। সে অনুযায়ী ক্ষণগণনা করে আমরা যাবতীয় কার্যক্রম শেষ করছি। এখন শুধুমাত্র বাদ আছে তফসিল ঘোষণা, আর নির্বাচন করার।’
বিএনপি কি নির্বাচন চাচ্ছে—জানতে চাইলে মো. আলমগীর বলেন, ‘নির্বাচন সবাই চাচ্ছে। আমাদের যারা ৪৪টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল আছে সবাই নির্বাচনের পক্ষে।’
বিএনপির নিরপেক্ষ সরকারের দাবির বিষয়ে মো. আলমগীর বলেন, ‘সেটা তো রাজনৈতিক বিষয়। তারা কীভাবে সমাধান করবেন সেটা তাদের বিষয়। এতে আমাদের কিছু করার নেই। আমাদের সংবিধানের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।’ তিনি বলেন, ‘আমরা চাই সবাই নির্বাচনে আসবে। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন করে আসছি। আগামীতেও সুষ্ঠু নির্বাচন করব।’