আহমেদ জুয়েল
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এনজিও ব্যুরোর ডিজি পদে দায়িত্ব পালন করা শেখ মনিরুজ্জামান ও তার স্ত্রীর অঢেল অবৈধ সম্পদ রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনস্ত এনজিও ব্যুরোর ডিজি পদ ব্যবহার করে তিনি এসব সম্পদ অর্জন করেছেন। খুলনা সিটি, রাজধানীর মিরপুর-৯ এবং শ্বশুরবাড়ি নাটোরের গুরুদাসপুরে শেখ মনিরুজ্জামান ও তার স্ত্রীর নামে বেনামে একাধিক বাড়ি ও খামার রয়েছে বলে জানা গেছে।
শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর তার অন্যতম দোসর এনজিও ব্যুরোর সাবেক ডিজি শেখ মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে দুদক সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ জমা পড়েছে। সেই অভিযোগের একটি কপি প্রিয়দেশ নিউজের কাছেও এসেছে।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, শেখ মনিরুজ্জামান দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি স্ত্রী, সন্তান ও আত্মীয় স্বজনের নামে প্রায় ২০০ কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে ডিজি পদে চাকরী করার সুবাদে তিনি এসব অর্থ ও ধনসম্পদ বানিয়েছেন। শুধু তাই নয়, তিনি একজন ভূমিদস্যুও ছিলেন। এসব কাজে তিনি ৩-৪টি সরকারি গাড়ি ব্যবহার করতেন।
‘ঢাকার মিরপুর-৯ এ স্বপ্ননগর আবাসিক এলাকায় (পল্লবী নতুন থানার পাশে) বিশাল নয়নাভিরাম ভিলা রয়েছে শেখ মনিরুজ্জামানের। এই ভিলার আনুমানিক মূল্য ১০ কোটি টাকার উপরে। শুধু তাই নয়, ডিজি পদ ব্যবহার করে অর্জিত সম্পদে তিনি কানাডার বেগমপাড়ায় একাধিক বাড়ি কিনেছেন এবং কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন।’
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, খুলনা শহরে স্ত্রী জান্নাতুল মাওয়া সুক্তির নামে ২০০৯ সালে ২টি বাড়ি ক্রয় করেন শেখ মনিরুজ্জামান। এরমধ্যে একটি হলো- মমতাজ বিল্ডিং, ৫১ হাজী ইসমাইল রোড, খুলনা সিটি, খুলনা; অপরটি প্লট-১১/২, রোড নং ৬, সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকা, ২য় ফেজ খুলনায় অবস্থিত। এই বাড়ির মূল্য ৬ কোটি টাকার বেশি হলেও তিনি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে দাম কম দেখিয়ে ক্রয়/রেজিস্ট্রি করেছেন। ওই সময় তিনি ইউএনও এবং পরে এডিসি ছিলেন। শেখ মনিরুজ্জামানের বেতনের যা অসামঞ্জস্যপূর্ণ।
এছাড়াও শেখ মনিরুজ্জামান তার শ্বশুরবাড়ি নাটোরের গুরুদাসপুরে সেখানকার আত্মীয়দের নামে ও বেনামে অনেক জমি ক্রয় করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নাম ভাঙিয়ে ভূমিদস্যুতা করে আরও অনেক সম্পদ সেখানে গড়েছেন বলেও অভিযোগে বলা হয়।
এজন্য তার বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞাও চাওয়া হয়েছে।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানার জন্য শেখ মনিরুজ্জামানের মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভি করেননি।