সাদের হোসেন বুলু: ঢাকার নবাবগঞ্জে চলমান মৌসুমে ইছামতি নদীতে পর্যাপ্ত পানি নেই। এসব কারণে প্রায় বিলুপ্তির পথে শত বছরের ঐতিহ্যবাহী আমাদের নৌকা বাইচ। এক সময় বর্ষায় নৌকা বাইচ ছিল গ্রাম বাংলার প্রধান উৎসব। আর সেই উৎসবের আমেজকে ধরে রাখতে রোববার বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাকার নবাবগঞ্জের কলাকোপা ইনিয়নে ইছামতি নদীতে নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, গ্রাম বাংলার প্রাচীনতম এ উৎসব উপভোগ করতে শিশু-কিশোর, নারী- পুরুষ, বৃদ্ধ নির্বিশেষে সকলেই মেতে ওঠে আনন্দে-উল্লাসে। নদীর পাড়ে বসে গ্রাম্য মেলা। বাইচ দেখতে হাজার হাজার দর্শনার্থী উপস্থিত হয়। ঢাকাসহ আশপাশের মুন্সীগঞ্জ ও মানিকগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকার দর্শনার্থীরা তাদের পরিবার নিয়ে এ নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা উপভোগ করতে উপস্থিত হন। এ সময় নদী পাড়ে আসা দর্শনার্থীদের মধ্যে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস দেখা গেছে। নৌকা বাইচে ঢাকা, মানিকগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১০ নৌকা অংশগ্রহণ করেন। এরমধ্যে অন্যতম নৌকাগুলো হলো শিকদার বাড়ি ,খান বাড়ি,লিটন-১, লিটন-২, সোনার তরী, দাদা নাতি মোহন মন্ডল, শেখ আব্দুল খালেক।
স্থানীয়রা বলছেন, নৌকা বাইচ উপলক্ষে তাদের বাড়িতে এসেছে নতুন অতিথি। বাড়িতে বাড়িতে আয়োজন করা হয়েছে নানা মুখরোচক খাবারের। এমন আয়োজনে খুশি তারা।
নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন, নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ, নৌকা বাইচ ঐতিহ্য রক্ষা জাতীয় কমিটি, কলাকোপা ও যন্ত্রাইল ইউনিয়ন পরিষদের সহযোগিতায় এই বাইচ অনুষ্ঠিত হয়। পরে কলাকোপা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইব্রাহীম খলিলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. শহীদুল ইসলামের সঞ্চলনায় এক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এসময় নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. জালাল উদ্দিনসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।