কচুয়াখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির কার্যকারিতা স্থগিত

সুপ্রিম কোর্ট প্রতিবেদক
ভোলার লালমোহনে কচুয়াখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। এর ফলে বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল আহাদ জালিয়াতি ও স্বাক্ষর জাল করে যে নিয়োগ বাণিজ্য করতে চেয়েছেন তা বন্ধ হয়ে গেল।

সোমবার হাইকোর্ট এ বিষয়ে দায়ের করা এক রিটের শুনানি শেষে ম্যানেজিং কমিটির কার্যকারিতা স্থগিত করার আদেশ দেন।

জানা যায়, গত বছরের ৩১ অক্টোবর অবসরে যান শিক্ষক আব্দুল আহাদ। তবে চলতি বছরের ১৪ মার্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব তৌহিদুল ইসলাম সাক্ষরিত একটি চুক্তিভিত্তিক প্রধান শিক্ষক নিয়োগের একটি চিঠি তিনি বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষক জুয়েল রানার কাছে জমা দেন। পরবর্তীতে জানা যায় উক্ত চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের চিঠিটি ভুয়া। এছাড়া মার্চ মাসের এমপিওতে তিনি নয়ন চন্দ্র দে নামের একজনকে ৮ লাখ টাকার বিনিময়ে অফিস সহকারী পদে নিয়োগ দেন। সেখানেও তিনি ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদের সাক্ষর জাল করেন। পরবর্তীতে সভাপতি জেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করলে ওই নিয়োগ স্থগিত হয়ে যায়। এরপর ৮ মে ২০২৪ তারিখে তিনি গোপনে অনলাইনে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদে আবেদন করেন। সেখানেও তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. শাহে আলমের সাক্ষর জাল করেন। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাহে আলম এ বিষয়ে বরিশাল বোর্ডে অভিযোগ করেছেন।

পরবর্তীতে এ বিষয়ে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়, যার নং- ৮৪১০/২০২৪। সেই রিটের শুনানি শেষে আজ সোমবার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে মো. আব্দুল আহাদের আবেদন এবং ম্যানেজিং কমিটির কার্যকারিতা স্থগিত করেন হাইকোর্ট।

রিটকারীর আইনজীবী মোঃ মনির হোসেন বলেন, সাবেক প্রধান শিক্ষক আব্দুল আহাদ জাল জালিয়াতি করে এবং বিভিন্ন ব্যক্তির, বিভিন্ন পক্ষের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে যে দরখাস্ত বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে দাখিল করেছেন সেই দরখাস্তটি সম্পূর্ণ ভুয়া এবং জাল জালিয়াতি দরখাস্তের কারণে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হওয়া উচিত। হাইকোর্টের আজকের স্থগিতাদেশের ফলে তার অপকর্ম এবং জালিয়াতির পথ চিরতরে রুদ্ধ হয়ে গেল। তার উচিত ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত হওয়া।