রবিউল ইসলাম খান
লক্ষ্মীপুরে বন্যায় সরকারী হিসেবে ৭ লাখ ৫০ হাজার দেখানো হলেও জরীপ করে ১৭ লাখ ৫০ হাজার লোক পানিবন্দি অবস্থায় পাওয়া গেছে। বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হওয়ার পর পানি বাহিত রোগে জেলায় ১১১৩৪ জন আক্রান্ত হয়। সাপ কাটা রোগী ৩১৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়।
বন্যায় ৩ জন মারা যায় এর মধ্যে পানি ডুবে ২ জন এবং ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে ১ জন মারা যায়। জেলায় বন্যায় ক্ষতি পরিমাণ ১৪ ৭৫ কোটি টাকা। জেলায় ৫ লাখ পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার ও রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়। ২৫ হাজার শিশু খাদ্য এবং ৪৮ টি মেডিকেল টিমের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা হয়েছে।
২৩ সেপ্টেম্বর (সোমবার) বিকেলে লক্ষ্মীপুর শহরের রামগতি সড়কের পাশে সেনাবাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্পে ৫ আগষ্ঠ পরবর্তী কার্যক্রম নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংবাদ সম্মেলন ৬ সমন্বয়ক এসব তথ্য জানান।
সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন সমন্বয়ক মাফরাজ হোসেন। এসময় সমন্বয়ক সরোয়ার হোসেন, এনামুল হক,সাজেদুর রহমান রাফি, বায়েজীদ হোসেন, আরিয়ান উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা আরও বলেন, জেলায় বন্যার পানি চলাচলে বাধাগ্রস্থ হয়েছে বিভিন্ন ব্যাক্তি ও প্রভাবশালীরা বিভিন্ন খাল দখল করে ২৭৩ টি অবৈধ বাঁধ নির্মাণ করে। ইতিমধ্যে ১৮ টি বাঁধ অপসারণ করা হয়েছে বাকী গুলো ১ সপ্তাহের মধ্যে কাজ শেষ করা হবে।
তারা আরও বলেন, প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা যৌথ সমন্বয়ে ত্রাণ কার্যক্রম, বাঁধ অপসারণ, মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিহত ও আহতদের তথ্য সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। আসন্ন দুর্গাপূজা মন্ডবসহ হিন্দুদের পূজা স্থাপনা সমূহে ছাত্ররা পাহারার ব্যবস্থা করবে।