লালমোহন প্রতিনিধি: ভোলার লালমোহন উপজেলার রমাগঞ্জ ইউনিয়নে জেলেদের মাঝে জেলে পুনর্বাসনের চাল বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। জনপ্রতি ৪০ কেজি চাল দেওয়ার কথা থাকলেও সেখানে ২৯ থেকে ৩২ কেজি করে বিতরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জেলেরা।
সোমবার ও মঙ্গলবার (১০ও ১১ এপ্রিল)২দিন সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত এ চাল বিতরণ করা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, ট্যাগ অফিসার ছাড়াই এই চাল বিতরণ করা হচ্ছে।
উপজেলা মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জাটকা ইলিশ শিকার বন্ধে দেশের সব উপকূলীয় অঞ্চল এলাকার নদীতে পহেলা মার্চ থেকে এপ্রিলের শেষ পর্যন্ত সকল ধরনের জাল দিয়ে মাছ ধরা, পরিবহণ করা ও বিক্রির ওপর সরকারের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে এই নিষেধাজ্ঞা ও জাটকা শিকার বন্ধকালীন সময় সরকারি খাদ্য সহায়তা হিসাবে প্রতি মাসে জেলেপ্রতি ৪০ কেজি করে জেলে পুনর্বাসনের চাল বিতরণ করা হয়। সেই অনুসারে রামগঞ্জ ইউনিয়নে ৪১৮ জন জেলের মাঝে ৩৩.৪৪০ টন খাদ্য সহায়তার চাল বিতরণ করা হয়। জেলেরা অভিযোগ করেছেন, জেলে প্রতি ৪০ কেজির স্থলে ২৯ থেকে ৩২ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে।
তবে চেয়ারম্যানের দাবি, প্রত্যেক জেলেকে নিয়ম মেনেই তারা চাল দিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সুবিধাভুগী জেলেরা অভিযোগ করেন, তাদেরকে ৪০ কেজি চাল না দিয়ে ২৯ থেকে ৩২ কেজি চাল দেওয়া হয়েছে।তারা চাল মেপে দেখছেন।
এছাড়াও ফরিদ নামের এক ব্যাক্তি চাল নিয়ে বাড়ী যাওয়ার সময় তার রিকশা থেকে চাল নিয়ে গিয়েছেন ওই ইউনিয়নের ছাত্রলীগ সভাপতি সেলিম বাবুল। এ বিষয়ে তার নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন এটি চেয়ারম্যান জানে তার সাথে কথা বলেন।
তবে চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়টি এড়িয়ে যান।
চাল বিতরণের দায়িত্বে থাকা ট্যাগ অফিসার কেনো উপস্থিত ছিলেন না জানতে ট্যাগ অফিসার ও উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজার মদন মহন বলেন, উপজেলায় আমার মিটিং থাকায় চেয়ারম্যানকে বলছি তারিখ একদিন পিছানোর জন্য। তবে তিনি সেটা না করে চাল বিতরণ করছে। চাল বিতরণে কোন অনিয়ম হলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চাল বিতরণের অনিয়ম সংক্রান্ত ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগটি সঠিক নয়। তবে আপনার সাথে দেখা করব।