ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে তেলবাহী জাহাজ ‘সাগর নন্দিনী ২’ -এর ইঞ্জিনরুমে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডে চারজন শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন। এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন জাহাজের আরও চার শ্রমিক।
শনিবার দুপুর দুইটার দিকে ঝালকাঠি পৌরসভার সামনে খেয়াঘাটে সুগন্ধ্যা নদীতে তেলবাহী জাহাজে এ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনা কবলিত জাহাজটি তলা ফেটে ধীরে ধীরে তলিয়ে যাচ্ছে। উদ্ধারকারী জাহাজ ‘নির্ভিক’ দুর্ঘটনাস্থলের দিকে রওয়ানা দিয়েছে।
‘সাগর নন্দিনী ২’ জাহাজটি প্রায় ১১ লাখ লিটার পেট্রোল ও ডিজেল নিয়ে গত বুধবার চট্টগ্রাম থেকে এসে ঝালকাঠির পদ্মা অয়েল কোম্পানীর সামনে সুগন্ধ্যা নদীতে নোঙর করেছিল।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের একঘন্টার চেষ্টায় জাহাজের আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। অগ্নিদগ্ধ চারজন নদীতে ঝাঁপ দিলে স্থানীয় ট্রলার চালকরা তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠায়। আহতদের মধ্যে দু’জনকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং অন্য দু’জনকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন সরকার জানান, শনিবার দুপুর দুইটার দিকে জাহাজের ইঞ্জিন রুমে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরেনের ফলে সৃষ্ট অগ্নিকাণ্ডে মাস্টার ব্রিজটি দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে জাহাজের নয়জন কর্মচারীর মধ্যে চারজন শ্রমিক দগ্ধ হন। দগ্ধরা হলেন- শাকিল (৩৫), ফরিদুল ইসলাম (৫০), ইকবাল হোসেন (২৭) ও মাইনুল ইসলাম হৃদয় (২৯)। মাস্টার ব্রিজের বাইরে থাকা বাবুর্চি বেলায়েত হোসেন (৪৫) নদীতে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণে রক্ষা পান। চারজন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
ঝালকাঠি পদ্মাা অয়েল কোম্পানীর ডিএস হোসেন আহম্মেদ জানান, ‘সাগর নন্দিনী ২’ জাহাজটি প্রায় ১১ লাখ লিটার পেট্রোল এবং ডিজেল নিয়ে গত বুধবার চট্রগ্রাম থেকে এসে ঝালকাঠির পদ্মা অয়েল কোম্পানীর সামনে সুগন্ধ্যা নদীতে নোঙর করে। শনিবার বিকেলে জাহাজটি দিয়ে তেল খালাস করার কথা ছিল। এদিন দুপুরে ইঞ্জিন রুমে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তলা ফেটে ধীরে ধীরে জাহাজটি ডুবে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে ছোট জাহাজে তেল খালাসের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
ঝালকাঠির পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল জানান, তেলবাহী জাহাজ ‘সাগর নন্দিনী ২’-এ অগ্নিকাণ্ডে চারজন আহত হয়েছেন। নিখোঁজ চারজনের সন্ধানে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ। জাহাজটি ধীরে ধীরে তলিয়ে যাচ্ছে। উদ্ধারকারী জাহাজ ‘নির্ভিক’ দুর্ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছে।